(বাঁ দিকে) ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অস্বস্তির মুখে পড়ে শেষে রাজ্যের ক্রীড়া সম্মানের আগের নামই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। ওড়িশায় ক্ষমতায় এসেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়কের স্মৃতিতে দেওয়া ক্রীড়া সম্মানের নাম বদলে ফেলেছিল নবনির্বাচিত বিজেপি সরকার। শুক্রবারই ‘বিজু পট্টনায়েক ক্রীড়া সম্মান’-এর নাম বদলে নতুন নামকরণ করা হয়েছিল ‘ওড়িশা রাজ্য ক্রীড়া সম্মান’। সে রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছিল।
ওড়িশার প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়কের নামে ক্রীড়া সম্মানের নামকরণ আচমকা বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিজু জনতা দল। বিভিন্ন মহল থেকে শুরু হয় সমালোচনা। দাবি উঠতে থাকে, রাজ্যের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান বিজু পট্টনায়কের নামেই রাখা হোক। অবশেষে রবিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে পিছু হটতে হল। প্রত্যাহার করতে হল নতুন নামকরণ। মুখ্যমন্ত্রী মাঝি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নামেই ক্রীড়া সম্মান দেওয়া হবে।
প্রায় আড়াই দশক পরে ওড়িশায় রাজনীতির পাশা পাল্টেছে। নবীন পট্টনায়কদের বিজু জনতা দলকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন সরকার গঠন করেছে বিজেপি। সবে দেড় মাস বয়স নতুন সরকারের। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, এর মধ্যেই বিজেডি জমানার বিভিন্ন প্রকল্পের নাম বদলে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে নতুন বিজেপি সরকার। এ সবের মধ্যেই শুক্রবার রাজ্য যুব ও ক্রীড়া দফতরের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিজেডি বিধায়ক অরুণ সাহু বলেন, “বিজু পট্টনায়ক দেশের সম্পদ। তিনটি দেশ থেকে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। ক্রীড়া সম্মান থেকে তাঁর নাম মুছে দিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি সরকার?”
পাল্টা ওড়িশার বিজেপি মুখপাত্র দিলীপ মল্লিক দাবি করেছিলেন, সব দিক বিবেচনা করেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রবিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “যাঁরা এ রাজ্যের গর্ব, তাঁদের আমাদের সরকার সম্মান করে। বিজু পট্টনায়কের নামে রাজ্যের যে ক্রীড়া সম্মান রয়েছে, সেই নামে কোনও বদল হবে না। যেমন ভাবে বিজু পট্টনায়ক ক্রীড়া সম্মান দেওয়া হচ্ছিল, সে ভাবেই চলতে থাকবে।”