নিটে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ। — ফাইল চিত্র।
দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় টেনেটুনেও পাশ নম্বরও তুলতে পারেনি গুজরাতের এক ছাত্রী। তবে সর্বভারতীয় ডাক্তারি স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষাতে (নিট-ইউজি) ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭০৫ পেয়েছে, এমনই খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন সূত্রে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিটে ভাল ফল করলেও দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশ করতে না পারায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
অনেক ছাত্রছাত্রীই দশম শ্রেণির পর থেকেই সর্বভারতীয় ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। অনেক বেসরকারি কোচিং সেন্টারে সেই প্রস্তুতি নেয়। রাজস্থানের কোটা সেই কোচিংয়ের হাব হিসাবে বিখ্যাত। তেমনই এক কোচিংয়ে পড়ত আমদাবাদের ওই পড়ুয়া। নিটের প্রস্তুতির পাশাপাশি স্থানীয় এক স্কুলে ‘ডামি’ ছাত্রী হিসাবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনাও করত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার কেন্দ্রভিত্তিক নিট-ইউজি ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, নিটে ওই ছাত্রী পেয়েছে ৭০৫ নম্বর। নিটের মার্কশিট অনুযায়ী, সে পদার্থবিদ্যায় ৯৯.৮ শতাংশ, রসায়নে ৯৯.১ শতাংশ এবং জীবনবিজ্ঞানেও ৯৯.১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সামগ্রিক ভাবে নিটে তার প্রাপ্য নম্বর ৯৯.৯ শতাংশ।
নিটে এত ভাল ফল করলেও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সেই পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় পায় মাত্র ২১, রসায়নে ৩১ এবং জীবনবিজ্ঞানে ৩৯ নম্বর। স্কুল সূত্রে খবর, মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা দু’জনেই চিকিৎসক। তবে তার পরও দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল ভাল হয়নি। নিট পাশ করলেও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে গেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে ৫০ শতাংশ নম্বরের প্রয়োজন। সেই গণ্ডি পার করতে পারেনি সে। ফলে তার কলেজে ভর্তিই এখন প্রশ্নের মুখে।