—প্রতীকী চিত্র।
দুর্ঘটনা হয়েছিল ১২ বছর আগে। গাড়ি সারানোর টাকা কে দেবেন তাই নিয়ে শুরু হয় বিতণ্ডা। ১২ বছর ধরে সেই মামলা চলার পর অবশেষে গাড়ি কোম্পানিকেই গাড়ি সারিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। আমদাবাদের ঘটনা।
২০১১ সালের ৩ জুন আমদাবাদের নিকোলের বাসিন্দা কিশোর ভাদা কার্গো মোটরস্ থেকে একটি গাড়ি কেনেন। এক বছর পরে গাড়ি সার্ভিসিং করাতে দিয়েছিলেন। সার্ভিস সেন্টার থেকে রাকেশ পটেল নামে এক কর্মী গিয়েছিলেন কিশোরের বাড়িতে। তিনি কিশোরের গাড়িটি নিয়ে সার্ভিস সেন্টারে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন। সার্ভিসিং-এ পাঠিয়ে ভেঙেচুরে যায় গাড়ি। কিশোর দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকেই ওই গাড়ি সারিয়ে দিতে হবে। কারণ, দুর্ঘটনার সময় তাঁর গাড়িটি ছিল কোম্পানির জিম্মায়। কিন্তু প্রস্তাব ফিরিয়ে কোম্পানি জানিয়ে দেয় গাড়ি সারানোর টাকা দিতে হবে মালিককেই। তারা যুক্তি দেয়, গাড়িটি যিনি কিশোরের বাড়ি থেকে আনতে গিয়েছিলেন, তিনি সার্ভিস সেন্টারে কাজ করেন ঠিকই। কিন্তু কিশোরের তিনি পূর্বপরিচিত এবং গাড়িটি ওই কর্মী নিজের দায়িত্বে কিশোরের বাড়ি থেকে আনতে গিয়েছিলেন। তাই ভাঙা গাড়ি সারানোর খরচ তারা বহন করবে না।
এই নিয়ে বিস্তর দড়ি টানাটানির পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হন গাড়িমালিক কিশোর। গাড়ি কোম্পানির বিরুদ্ধে তিনি ২০১৭ সালে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সম্প্রতি ওই মামলার শুনানি হয়েছে। বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, গাড়ির ডিলার যারা, তাদেরই খরচের ভার নিতে হবে। না-হলে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে গাড়িমালিককে। আদালত জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি ছিল সংস্থার লোকজনের হাতে। তাই সারানোর খরচ তাদেরই বহন করতে হবে।
২০১১ সালে গাড়ি দুর্ঘটনার পরে ২০২৪ সালে সেটি সারানোর খরচ দেওয়ার নির্দেশ আসার পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গাড়িমালিক। নির্দেশে এ-ও বলা হয়েছে, এই মামলায় গাড়িমালিকের যা খরচ হয়েছে এবং তাঁকে গাড়ির জন্য যে হয়রানি হতে হয়েছে, সে জন্য আরও ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে ওই গাড়ি কোম্পানিকে।