প্রতীকী ছবি।
বছরের শেষে বিহারের বিধানসভা ভোট। ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের সঙ্গে কেরল, তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরিতেও বিধানসভা ভোট।
এই আধ ডজন রাজ্যে নির্বাচনের আগে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ রদবদলের পরিকল্পনা করছেন। অগস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও রদবদল হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, কয়েক জন মন্ত্রীকে সংগঠনে নিয়ে আসা হতে পারে। সংগঠন থেকেও কয়েক জনকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের ভোটকেই সব থেকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের কাজে শীর্ষ নেতৃত্ব খুশি। মধ্যপ্রদেশের ভোটেও তিনি কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছেন। কৈলাস এর পুরস্কার পেতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে জোর দিতে কৈলাসের সঙ্গে আরও কয়েক জন যুগ্ম-ভারপ্রাপ্ত নেতা দায়িত্ব পেতে পারেন।
সূত্রের দাবি, গত সপ্তাহেই বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ, আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবালে ও কৃষ্ণ গোপালের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। জানুয়ারি মাসে নড্ডা বিজেপির সভাপতি পদে এসেছেন। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় সংগঠনে রদবদল হয়নি। তার আগে অমিত শাহ বিজেপির সভাপতি হিসেবে কৈলাস, সুনীল দেওধর ও রাম মাধবকে দলের সাধারণ সম্পাদক করে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: গাঁধী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ৩ ট্রাস্টে ‘বেনিয়ম’ নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়ল কেন্দ্র
এখন মোদী-শাহের সায় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য থেকে আরও বেশি নেতাকে সংগঠনের কেন্দ্রে তুলে আনতে চাইছেন নড্ডা। কেরলে নতুন সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করা হতে পারে। অসমের ভোটের কথা ভেবে গোটা উত্তর-পূর্বের জন্যই একজন সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করা হতে পারে।
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রাজ্যসভায় জিতে এসেছেন। তাঁর মন্ত্রিসভায় ঢোকা সময়ের অপেক্ষা। শিবসেনা এনডিএ ছেড়ে যাওয়ার পরে ভারী শিল্প মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রকাশ জাভড়েকরকে দেওয়া হয়। সেই পদেও নতুন কাউকে বসানো হতে পারে। তবে শিবসেনার সঙ্গে জোটের আশা বিজেপি ছেড়ে দিচ্ছে না। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে শিবসেনার সংঘাত দেখে সে আশা জোরালো হচ্ছে। কিন্তু সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীসকে নিয়ে সমস্যা হতে পারে। কারণ ফের সেনা-বিজেপি জোট হলে উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রী বলে মেনে নিতে হবে। তাই আগেই দেবেন্দ্রকে কেন্দ্রীয় সংগঠনে বা মন্ত্রিসভায় আনার ভাবনা রয়েছে।
গুজরাতেও রাজ্য সভাপতি পদে বদল হবে। পরে বিজয় রূপাণীর মন্ত্রিসভাতেও রদবদল হবে। দিল্লি, ছত্তীসগঢ়ে আগেই রাজ্য সভাপতি বদল হয়েছে। গুজরাতে বিধানসভা উপনির্বাচন এবং পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভেবে জিতু ভাগনানিকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়।