ছবি: সংগৃহীত।
বিহার জয়ের পর এ বার দক্ষিণে প্রভাব বাড়াতে তৎপর বিজেপি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে হায়দরাবাদ
পুরসভার নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। ওই ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ ভূপেন্দ্র যাদবকে, বিহারে ভোটে বিজেপির জয়ের পিছনে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। অন্য দিকে বিজেপিকে রুখতে প্রয়োজনে অন্য দলের সঙ্গে জোট গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসক দল টিআরএস-এর নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও।
সম্প্রতি বিহারের সঙ্গেই তেলঙ্গানার ডুবক্কা বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। তার পরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, হায়দরাবাদ পুরসভা নির্বাচনে জেতার জন্য ঝাঁপাবে দল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল সেনা
ভূপেন্দ্র যাদব গত কালই তেলঙ্গনা পৌঁছে গিয়েছেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হায়দরাবাদ যাবেন অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডা। বিজেপি মুখপাত্র কে কৃষ্ণসাগর রাওয়ের কথায়, “ভূপেন্দ্র যাদবের হাতে দায়িত্ব দেওয়া থেকেই স্পষ্ট, দল কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে ওই নির্বাচনকে। আমাদের লড়াই টিআরএস ও এমআইএম জোটের অপশাসনের বিরুদ্ধে।’’ বিজেপির মতে, হায়দরাবাদে শহুরে ভোটারদের মধ্যে দলের ভাল প্রভাব রয়েছে। চন্দ্রশেখর রাওয়ের স্বজনপোষণ ও দুর্নীতিকেই প্রচারের বিষয় হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনা তাঁদের।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি-সমাধানে ‘ভারত-নির্ভরতা’ চান মোদী
ঘর গোছাতে নেমে পড়েছেন চন্দ্রশেখরও। গত কাল দলের সংসদীয় বৈঠকে চন্দ্রশেখর জানান, রাজ্যের সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলকে একজোট করার লক্ষ্যে ডিসেম্বরের শুরুতেই একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে চলেছেন তিনি, যাতে বিজেপি বিরোধী ভোট বিভাজনের সুবিধে নিতে না পারে। মূলত মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতি, কোভিড সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থতা, লকডাউনে মানুষের চাকরি হারানো, অর্থনীতির বেহাল দশার মতো বিষয়গুলি তুলে ধরে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টিআরএস নেতৃত্ব।