হাঙ্গামার মধ্যেই পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল। ফাইল ছবি।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ২০২০ বিলটি উত্থাপনে বিরোধীদের আপত্তি খারিজ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। রাজস্থানের বিজেপি সাংসদ এই বিল পেশের পরই বিরোধীরা আপত্তি তোলেন। শুরু হয় হইহল্লা। বিরোধীরা বিলটিকে আটকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
বিজেপি সাংসদ কিরোডিলাল মিনা প্রাইভেট মেম্বার বিল হিসাবে ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ২০২০ বিলটি পেশ করেন। তার বিরোধিতায় ৩টি মোশন জমা দেন বিরোধীরা। কিন্তু ৬৩-২৩ ধ্বনিভোটে তা খারিজ হয়ে যায়।
কিরোডিলাল বিলটি পেশ করতেই প্রতিবাদ জানান বিরোধী নেতারা। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, সিপিআইয়ের মতো দলের সাংসদরা সমস্বরে বলতে থাকেন, এই বিল ভারতের গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করবে। ভারতের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কথাই বলে এসেছে বলেও স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধীরা। এই বিল সেই সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে দাবি তাঁদের। তখন বলতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, ‘‘অধিবেশনে এটা নিয়ে আলোচনা হোক। এই অবস্থায় সরকারের সমালোচনা এবং বিলের বিরোধিতার কোনও অর্থ হয় না।’’ এর পরই চেয়ারম্যান ধনখড় ধ্বনিভোট করান। তাতে বিলের পক্ষে ৬৩ জনের সমর্থন আসে, বিপক্ষে ২৩।
সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিট্টাস আইন কমিশনের একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে জানান, সেখানে বলা হয়েছিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অপ্রয়োজনীয় এবং তা কাম্য নয়। ডিএমকের তিরুচি সিভা দাবি করেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ধারণাটিই ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী। বিজেপি সাংসদ হরনাথ সিংহ যাদব অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দেশ জুড়ে চালু করা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে ‘জ়িরো আওয়ার’ নোটিস দেন।
অতীতে, এই বিলটি পেশ করার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু সংসদের উচ্চকক্ষ, রাজ্যসভায় পেশ হয়নি।
৭ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলবে।
(এই সংবাদটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। অনবধানবশত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)