মারপিটের মামলায় দু’বছরের জেলের সাজা বিজেপি সাংসদের। — ফাইল ছবি।
বিজেপি নেতা রামশঙ্কর কাঠেরিয়াকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল আদালত। ২০১১ সালে একটি মারধরের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শনিবার আগরার এমপি-এমএলএ আদালত ঘোষণা করে দু’বছরের জেলের সাজা। পাশাপাশি, আদালত তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। আদালতের রায় শোনার পর হতাশ সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর কাঠেরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি এক মলের ভিতরে ‘টরেন্ট পাওয়ার’ নামে একটি সংস্থার অফিসে ভাঙচুর করেন। বেধড়ক মারধর করেন সেই অফিসের কর্মীদের। ওই মামলাতেই ১২ বছর পর রায় দিল আদালত। আদালতের রায় শোনার পর প্রতিক্রিয়ায় কাঠেরিয়া বলেন, ‘‘আমি স্বাভাবিক ভাবেই আদালতে এসেছিলাম। কিন্তু আদালত আমার বিরুদ্ধে রায় দিল। আমি কোর্টকে খুব সম্মান করি। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করার অধিকার আমার রয়েছে।’’
উত্তরপ্রদেশের এটাওয়াহের বিজেপি সাংসদ কাঠেরিয়া একটা সময় মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এসসি-এসটি কমিশনেরও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদকে যদি আদালত দু’বছরের সাজা দেয় তা হলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। ঠিক যেমনটি হয়েছিল রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে। তাঁকে মোদী পদবি মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল গুজরাতের সুরাতের একটি আদালত। গুজরাত হাই কোর্টও সেই সাজার সংস্থানকে বহাল রেখেছিল। সেই সময়ই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট সুরতের নিম্ন আদালতের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে আবার সাংসদপদ ফিরে পেতে সমস্যা নেই রাহুলের। যদিও কবে তিনি আবার লোকসভায় ঢুকতে পারবেন তা এখনও অজানা। এই প্রেক্ষিতেই বিজেপির এক সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের জেলের সাজা শোনাল আগরার এমপি-এমএলএ আদালত। রাহুলের মতো তৎপরতায় কি কাঠেরিয়ারও সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।