BJP

‘সার্বভৌম কর্নাটক’! এ বার সনিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে বিজেপি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ

রবিবার নরেন্দ্র মোদী যে ভাবে ‘কর্নাটকের সার্বভৌমত্ব বিতর্ক’ নিয়ে সরব হন, তা আসলে তা শেষ পর্যায়ে জাতীয়তাবাদের কথা বলে বিজেপির পক্ষে সমর্থনের হাওয়া তোলার কৌশল বলেই মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের অনেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ১৫:১২
Share:

সনিয়ার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি। — ফাইল চিত্র।

কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের প্রচারের শেষ দিনে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে নিশানা করল বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের কাছে পদ্ম-শিবির অভিযোগ জানিয়েছে, ভোটের প্রচারে কর্নাটকের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মতো অসাংবিধানিক মন্তব্য করেছেন সনিয়া। তাই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত।

Advertisement

শনিবার কর্নাটকের হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারের সভায় সনিয়া কন্নড় সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। সে সময়ই তিনি ‘সার্বভৌমত্ব’ শব্দটি ব্যবহার করেন বলে বিজেপির দাবি। রবিবার কর্নাটকে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এ বিষয়ে নিশানা করেন সনিয়াকে। তিনি বলেন, ‘‘গত কাল গান্ধী পরিবার প্রচারে এসে কর্নাটকের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলেছিলেন। এর অর্থ হল, যখন কোনও দেশ স্বাধীন হয়, তখন সেটিকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। কংগ্রেস নেতারা যা বলছেন, তা ধরলে মেনে নিতে হয়, কর্নাটক আর ভারতের অংশ নয়।’’

এর পরেই ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সমালোচনার মাধ্যমে পরোক্ষে রাহুল গান্ধীর দিকে আঙুল তুলে মোদী বলেন, ‘‘এর অর্থ, কংগ্রেস প্রকাশ্যে কর্নাটককে ভারত থেকে পৃথক করার কথা বলছে। আমি ভাবতেও পারিনি, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর প্রভাব এই উচ্চতায় পৌঁছবে।’’ প্রসঙ্গত, অতীতে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কর্নাটক সরকারের প্রতীক হিসাবে একটি নতুন পতাকাকে স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সে সময় বিজেপি ওই উদ্যোগকে ‘অংসাবিধানিক’ বলেছিল। আগামী ১০ মে কর্নাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনেই এক দফায় ভোটগ্রহণ, ১৩ মে গণনা। সোমবারই প্রচারের শেষ দিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement