অশোক গহলৌত এবং সচিন পাইলট— ফাইল চিত্র।
রাজস্থানে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসকে টেক্কা দিল প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে উত্তর ভারত জুড়ে কৃষক আন্দোলনের আবহে এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। অন্যদিকে, কংগ্রেসে ফের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতর।
নভেম্বরে চার দফায় রাজস্থানে জেলাপরিষদ এবং ব্লক পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। মঙ্গলবারের গণনায় দেখা যাচ্ছে, ২১টি জেলা পরিষদের মধ্যে ১৪টি দখলের জায়গায় চলে গিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে মাত্র ৫টিতে। জেলা পরিষদের ৬৩৬টি আসনের মধ্যে ৫৯৭টির ফল প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি ৩২৩ এবং তার সহযোগী দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি (আরএলপি) ১০টিতে জিতেছে। কংগ্রেস পেয়েছে ২৩৯টি। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন ১৭টি আসনে।
পঞ্চায়েত সমিতির ৪,৩৭১টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বিজেপি ১,৮৩৫ এবং কংগ্রেস ১,৭১৮টি আসনে জিতেছে। আরএলপি-র ৫৬, নির্দলদের ঝুলিতে গিয়েছে ৪২২টি আসন। রাজ্যের ২২২টি পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশই বিজেপি-র দখলে যাবে বলে রাজনৈতিক মহলের পূর্বাভাস।
দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান অমিত মালব্য বুধবার টুইটারে লেখেন, ‘এই ফলাফল নয়া কৃষি আইনের প্রতি সমর্থন ছাড়া আর কিছু নয়। কংগ্রেস কি দেওয়াল লিখন পড়তে পারছে?’
গহলৌত শিবির ইতিমধ্যেই সচিন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছে। জুলাই মাসে গহলৌতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনাস্থা প্রকাশ করে হরিয়ানার একটি রিসর্টে ডেরা বেঁধেছিলেন সচিন এবং তাঁর অনুগামী ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক। পরিণামে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ এবং উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছিল সচিনকে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতায় নড্ডাকে কালো পতাকা দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা
শেষ পর্যন্ত রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা বঢরার হস্তক্ষেপে বিদ্রোহীরা আস্থাভোটে গহলৌত সরকারকে সমর্থন করলেও রাজস্থানে দলের অন্দরে চোরাস্রোত রয়ে গিয়েছে বলেই কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে। সচিন এবং তাঁর অনুগামীদের এখনও দলের অন্দরে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে তারই খেসারত দিয়ে হয়েছে কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুন: হাতে পাওয়া বেতন কমতে পারে বেসরকারি কর্মীদের