মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।
আজ গোটা দিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কার্যত লুকোচুরি খেললেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, তাঁকে খুঁজে পেতে আজ নাকাল হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট থেকে আসা পুলিশবাহিনীও।
গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন দৃশ্যতই অসংলগ্ন মুকুল। দাবি করেছিলেন, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ফোনে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তিনি অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করবেন। তাঁর কিছু ‘কাজ’ রয়েছে। সেগুলি সেরে কলকাতা ফিরবেন। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিল্লিতে বিজেপি-র ছোট বড় বা মাঝারি কোনও নেতাই দেখা করেননি মুকুলের সঙ্গে। অন্য দিকে মুকুলকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন পশ্চিমবঙ্গে ফের বলেছেন, ‘‘ওঁর বিষয়ে আমাদের উৎসাহ নেই। বুথ স্তরে যে কর্মীরা বিজেপির হয়ে লড়াই করতে পারবেন, তাঁদের চিহ্নিত করছি। তাঁদেরই প্রয়োজন। ওঁর (মুকুল) মতো নেতাকে নিয়ে উৎসাহী নই আমরা।’’ প্রশ্নের মুখে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘তৃণমূলে গেলে কারও সোডিয়াম কমে, কারও পটাসিয়াম কমে। কার কী কমেছে, এটা ডাক্তার বলবে। তবে পশ্চিমবাংলার রাজনীতিকে যিনি (মুকুল) ঘেঁটেছেন, আমাদের দলে আসার পরে ওঁকে সম্মান দেওয়া সত্ত্বেও উনি আমাদের সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে যে ভাবে ধোঁকা দিয়েছেন, আমাদের কর্মীদের মনোবল যে ভাবে ভেঙে দিয়েছেন, তাতে আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতেও অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
যাঁকে ঘিরে রাজ্য বিজেপি-র এই তুমুল অনাগ্রহ, তাঁর সঙ্গে খোদ অমিত শাহ দেখা করবেন, এমন সম্ভাবনাকে আপাতত কষ্টকল্পনা বলেই ভাবছেন রাজনৈতিক মহল। তবে আজও মুকুল যখন কলকাতা ফিরলেন না, তখন এখানে তাঁর পরবর্তী কার্যসূচি কী হবে, তা নিয়ে কিছুটা কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
আজ সকালেই নাটকীয়ভাবে মুকুল হোটেলের ঘর ছেড়ে দেন। তারপর গোটা শহরে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করে সংবাদমাধ্যম। আজ তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর সঙ্গীদের কখনও বক্তব্য, তিনি ‘বৈঠক’ করছেন। কখনও বলা হয়েছে, কথা বলার ক্ষেত্রে ‘নিষেধ’ রয়েছে। সূত্রের খবর, মুকুল রায় নিজেই নাকি কলকাতা ফিরতে চাইছেন না কোনও অজ্ঞাতকারণে। তিনি আগের হোটেলটি ছেড়ে কেন একই শহরে অন্য হোটেলে থাকছেন, সেটিও রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।