বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন। প্রতীকী ছবি।
মণিপুরে বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন। পরে আত্মসমর্পন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের থৌবল জেলায়। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে।
মণিপুরে বিজেপির প্রাক্তন সেনাকর্মীর শাখার আহ্বায়ক লাইশরাম রামেশ্বর সিংহকে বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয়, জানিয়েছেন থৌবলের পুলিশ সুপার হাওবিজাম যোগেশচন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ একটি গাড়িতে লাইশরামের ক্ষেত্রী লেইকাই এলাকার বাড়ির সামনে পৌঁছন দুই ব্যক্তি। সেই সময় লাইশরাম বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুষ্কৃতীরা বন্দুক বার করে সোজা লাইশরামকে নিশানা করে গুলি চালাতে থাকেন। বুকে গুলি লাগে বিজেপি নেতার। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তা দেখে গাড়ি ছুটিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। সেই গাড়ির কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তড়িঘড়ি লাইশরামকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পরেই চার দিকে নাকা তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নওরেম রিকি পয়েন্টিং সিংহ নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, নওরেম গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়েকপাম কেশোরজিৎ নামে এক ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। তিনিই লাইশরামকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁর নামে হুলিয়া জারি করে।
কিছু ক্ষণের মধ্যেই খবর পাওয়া যায়, পশ্চিম ইম্ফল জেলার কম্যান্ডো কমপ্লেক্সে ৪৬ বছর বয়সি আয়েকপাম আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন এবং ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও একটি খালি বুলেটের খোলও পাওয়া গিয়েছে।
রাজনৈতিক কোনও কারণ না কি ব্যক্তিগত শত্রুতা— অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারলেও খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তদন্তের পর তা পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মণিপুরে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি চিদানন্দ সিংহ বলেন, ‘‘আমরা এমন কাপুরুষোচিত কাজের নিন্দা করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।’’