ঋষি সুনকের প্রসঙ্গ টেনে তরজায় মেহবুবা মুফতি এবং (বাঁ-দিকে) রবিশঙ্কর প্রসাদ। —ফাইল চিত্র।
ঋষি সুনকের কীর্তি উদ্যাপনের আবহেই তাঁর প্রসঙ্গ টেনে তরজায় জড়ালেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। মুফতির দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুনকের মতো জাতিগত সংখ্যালঘুকে ব্রিটেন স্বাগত জানালেও এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বৈষম্যমূলক ও বিভাজন সৃষ্টিকারী আইনে শেকলবন্দি ভারত। মুফতির এই মন্তব্য ঘিরে তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক তোপ দেগেছেন রবিশঙ্কর। মুফতিকে প্রশ্ন করেছেন, এক জন সংখ্যালঘুকে কি কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে মেনে নেবেন?
ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুনককেই বেছে নিয়েছে তাঁর দল কনজ়ারভেটিভ পার্টি। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা অ-শ্বেতাঙ্গ হিসাবে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুনকের নাম ঘোষণার পর ব্রিটেনের পাশাপাশি এ দেশেও খুশির জোয়ার বইছে। তবে এই আবহে মুফতির টুইট, ‘‘এটা গর্ব করার মতো মুহূর্ত যে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। গোটা ভারত তা উদ্যাপন করছে। তবে ব্রিটেনে এক জন জাতিগত ভাবে সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিলেও আমরা এখনও এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিভাজনকারী ও বৈষম্যমূলক আইনে শেকলবন্দি হয়ে রয়েছি।’’
মুফতির এই টুইটের পরেও তাঁকে আক্রমণ করেছেন রবিশঙ্কর। পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) নেত্রী মুফতিকে সরাসরি প্রশ্ন করেছেন তিনি। রবিশঙ্করের টুইট, ‘‘মেহবুবা মুফতি’জি! এক জন সংখ্যালঘুকে কি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নেবেন? দয়া করে খোলামেলা জবাব দেবেন।’’ মুফতিকে আক্রমণের সময় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহেরও উদাহরণ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর। তিনি বলেছেন, ‘‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঋষি সুনককে বেছে নেওয়ার পর থেকেই বেশ কয়েক জন নেতা সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই রাষ্ট্রপতি হিসাবে এপিজে আব্দুল কালামের অসাধারণ কাল, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনমোহন সিংহের দশ বছর। বর্তমানে আমাদের রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিশিষ্ট আদিবাসী নেত্রী দৌপদী মুর্মুর নাম।’’ রবিশঙ্করের দাবি, সুনকের অসাধারণ কীর্তিতে তাঁকে অভিনন্দন জানানো প্রয়োজন। কিন্তু কয়েক জন রাজনীতিক তা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন।