চাচা চৌধুরীর বেশে কে? ছবি: সংগৃহীত।
কমিক্সের জনপ্রিয় চরিত্র চাচা চৌধুরী মাতিয়ে দিলেন আসর। সঙ্গে হাজির সাবুও! এমনই দৃশ্য দেখে থ হয়ে গেলেন ইনদওরের মানুষ। প্রতি বছরই হাস্যকবি সম্মেলনের আসর বসে ওই শহরে। সেখানে এ বার এমন সাজে এলেন তিনি যে, কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না, মুখোশের পিছনে আসলে তিনি কে? অথচ মুখোশের পিছনে কে আছেন বলতে পারলেই ছিল ১ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কারের টোপ। তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর সাবুর সাজে বিজেপিরই প্রাক্তন বিধায়ক জিতু জিরাতি।
সত্তরের দশকে প্রাণকুমার শর্মা লেখা শুরু করেন চাচা চৌধুরীর কাণ্ডকারখানা। কমিক্সের বইয়ে বর্তমান প্রজন্মের দীর্ঘ সময় কেটেছে সেই চাচা চৌধুরী এবং সঙ্গী ভিনগ্রহের প্রাণী সাবুকে ঘিরেই। এ বার বাস্তবের মাটিতে উঠে এলেন তিনি। মাথায় লাল পাগড়ি, হাতে কাঠের লাঠি, ভিতর দিকে ডবল পকেটওয়ালা ওয়েস্টকোট, তাতে ঝোলানো পকেট ঘড়ি। কৈলাসের চাচা-রূপ এমনই খোলতাই হয়েছিল যে, তিনি আশপাশে ঘুরে বেড়ালেও কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। কে কোন পোশাকে ঘুরছেন, তা বলতে পারলেই এক লক্ষ টাকা পুরস্কারেরও ব্যবস্থা ছিল।
এলভিস রূপে কৈলাস — ফাইল ছবি।
কিন্তু চাচা চৌধুরী কেন সাজলেন? জবাবে কৈলাস জানাচ্ছেন, চাচা চৌধুরী এমনই এক চরিত্র, যিনি আদতে গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু বুদ্ধি এবং বিচক্ষণতার মানদণ্ডে যে কোনও শহুরে বাবুকে বলে বলে গোল দিতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘শহরের একটা অংশের মধ্যে ধারণা রয়েছে, যাঁরা গ্রামে থাকেন তাঁরা বুঝি একটু কম বোঝেন, সারল্যের সুযোগ নিয়ে তাঁদের বোকাও বানানো যায়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। চাচা চৌধুরীও গ্রামেরই মানুষ ছিলেন। কিন্তু বুদ্ধিতে সকলের সেরা। এই পোশাকের মধ্যে দিয়ে আমি এই বার্তাই দিতে চেয়েছি যে, গ্রাম, শহরে ফারাক নেই। শহরের মতো স্মার্ট গ্রামের সরল মানুষেরাও হতে পারেন।’’ কৈলাসেরই সতীর্থ আর এক বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক জিতু সেজেছিলেন সাবু। তাঁকে দেখেও কেউ টের পাননি।
রাজনীতির আঙিনার পাশাপাশি আরও অনেক ক্ষেত্রেই উৎসাহ কৈলাসের। তেমনই একটি ভালবাসার জায়গা রক মিউজিক। ২০১৮ সালে এলভিস প্রেসলি সেজে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন কৈলাস। আর এ বার বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে আনলেন কমিক্সের পাতার চাচা চৌধুরীকে।