বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। ফাইল চিত্র।
বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস গোটা দেশ থেকে মুছে যাচ্ছে। অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা করেছে তারা। আজ ত্রিপুরায় এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা বাম-কংগ্রেসকে এ ভাবেই আক্রমণ করলেন।
অবশ্য ত্রিপুরায় নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের সামলাতেই বেগ পেতে হচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতাদের। বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই ক্ষোভ ছড়ায় সর্বত্র। অনেকে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেন। তাঁদের ক্ষোভ সামলাতে হেলিকপ্টার নিয়েও ছুটতে হয়েছে শীর্ষ নেতাদের। গত কাল উত্তর ত্রিপুরার এক বিক্ষুব্ধ প্রার্থীকে বুঝিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ঊনকোটির বিক্ষুব্ধ জেলা সভাপতি রঞ্জন সিন্হার বাড়িতে গিয়েও তাঁর দেখা পাননি নেতারা। চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট-প্রত্যাশী ছিলেন রঞ্জন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই তিনি সদলবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মণ্ডল অফিস ও কয়েকটি বুথ অফিস ভাঙচুর হয়। এর পর রঞ্জন পদত্যাগ করে তিপ্রা মথায় যোগ দেন এবং তাদের হয়েই মনোনয়ন পেশ করেন। গত কাল ত্রিপুরার মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, ফণীন্দ্রনাথ শর্মার সঙ্গে বিজেপি নেতা অশোক সিন্হা গিয়েছিলেন রঞ্জনের বাড়িতে। সেখানে দেখা না পেয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনেও কথা বলতে পারেননি নেতারা। রঞ্জনের স্ত্রী কান্নাকাটি করে ক্ষোভের কথা নেতাদের জানান।
এই টালমাটাল অবস্থা সামলাতে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন রাজ্যের এক ঝাঁক নেতা ভোটের প্রচারে আসতে শুরু করেছেন। আজ নড্ডা ছাড়াও ত্রিপুরায় এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, বিজেপির জনজাতি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ সমীর ওরাওঁ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ রাজদীপ রায় এবং নেতা-অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিভিন্ন জায়গায় সভা করেছেন এই নেতা-নেত্রীরা।
অমরপুরের জনসভায় নড্ডা বলেন, বিজেপি ত্রিপুরাকে বিশ্বের মানচিত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াই করছে। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার রাজ্যের চিত্র বদলে দিয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বিশেষ চিন্তা করেন। তাই উন্নয়ন চলবেই। ত্রিপুরায় রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন, সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সিপাহিজলার নলছর কেন্দ্রে আসন সমঝোতা নিয়ে সিমিএম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন স্মৃতি। কৃষ্ণপুরের জনসভায় হিমন্ত বলেন, ত্রিপুরা থেকে সিপিএম ১০ বছর আগেই মুছে যেত। কংগ্রেসের সহযোগিতায় তারা ২৫ বছর ত্রিপুরা শাসন করেছে। আগামী কয়েক বছরে ত্রিপুরা থেকেও মুছে যাবে বাম।