—প্রতীকী ছবি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণে ভাল ফলের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর দল। যার প্রভাব পড়ল পদ্ম পুরস্কারের তালিকাতেও। আজ পাঁচ পদ্মবিভূষণ প্রাপকদের মধ্যে চার জনই দক্ষিণের।
পদ্ম-তালিকায় স্থান পেয়েছেন একাধিক মুসলিম মহিলাও। রাজনীতিকদের একাংশের অবশ্য দাবি, বিজেপির লক্ষ্য যে মুসলিম মহিলাদের ভোট, সেই বার্তাও এই তালিকার মাধ্যমে দিতে চাওয়া হয়েছে।
পদ্মবিভূষণ প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা বালি, অভিনেতা চিরঞ্জীবী, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি তথা বিজেপি নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডু, ভারতনাট্যম শিল্পী পদ্মা সুব্রহ্মণ্যম। এঁরা চার জনেই দক্ষিণ ভারতের। রাজনীতিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, উত্তর ভারতের পরে এখন দক্ষিণে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণে দক্ষিণের বিশিষ্টদের পদ্ম সম্মান দিয়ে স্থানীয় আবেগকে পাশে পাওয়ার কৌশল নিতে চেয়েছে বিজেপি।
এ ছাড়া, বিহারের বিন্ধেশ্বর পাঠককেও মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়েছে। সুলভ শৌচালয় নির্মাণের পথিকৃৎ হিসেবে তাঁকে গণ্য করা হয়।
আজ যে ১৭ জন পদ্মভূষণ পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চার জন দক্ষিণের। আর ১১০ জন পদ্মশ্রী প্রাপকদের মধ্যে ২২ জন দক্ষিণের। পদ্মভূষণ তালিকায় রয়েছেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা বিজয়কান্ত। পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায় রয়েছেন টেনিস ও স্কোয়াশ খেলোয়াড় রোহন বোপান্না ও জ্যোৎস্না চিনাপ্পা, হরিকথা শিল্পী উমা মহেশ্বরী।
পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ফতেমা বিবিকে (মরণোত্তর)। পদ্মশ্রী পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের চিকনকারি শিল্পী নাসিম বানো, পশ্চিমবঙ্গের কাঁথা সেলাইশিল্পী তকদিরা বেগম।
আজকের পদ্মভূষণ প্রাপকের তালিকায় রয়েছেন তাইওয়ানের শিল্পপতি ইউং লিউ। মূলত চিনকে বার্তা দিতেই তাইওয়ানের ওই বাসিন্দাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।