—ফাইল চিত্র
কেন্দ্রের পাশ করানো তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পাশ হল কেরলের বিধানসভায়। সেই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন না এক মাত্র বিজেপি সদস্য। ফলে সর্বসম্মতিতে পাশ হল সেই প্রস্তাব। কেন তিনি বিপক্ষে ভোট দিলেন না, তার কারণ হিসেবে ৯১ বছরের বিজেপি সদস্য ও রাজাগোপাল প্রথমে জানালেন, প্রস্তাবের ‘অনেক কিছু’ তিনি সমর্থন করেন বলেই বিপক্ষে ভোট দেননি। আবার কয়েক ঘণ্টা পরে ওই বিধায়কই বিবৃতি দিয়ে দাবি করলেন, নিজের বক্তৃতায় প্রস্তাবের বিরোধিতাই করেছেন তিনি। স্পিকার রুল ভেঙে প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট না চাওয়ায় তাঁর ভোট দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এ দিন কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবি সংবলিত প্রস্তাবটি পেশ করে বলেন, “কেন্দ্রের উচিত এখনই কৃষকদের দাবি মেনে আইনগুলি রদ করা। অচলাবস্থায় কৃষিকাজ মার খাচ্ছে। কৃষিজ সম্পদের জন্য অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীল কেরল। দেশের কৃষি মার খেলে না-খেয়ে থাকতে হবে কেরলের বাসিন্দাদের।” শাসক এলডিএফ এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইউডিএফ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। একমাত্র বিজেপি বিধায়ক রাজাগোপাল তাঁর বক্তৃতায় কেন্দ্রের পদক্ষেপের সমর্থন করে বলেন, “দালাল ও ফড়িয়াদের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করে যাকে খুশি ফসল বেচার অধিকার দিয়েছে কেন্দ্রের কৃষি আইন।” কিন্তু ভোটাভুটির সময়ে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেননি রাজাগোপাল। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই প্রস্তাবের অনেক কিছুর সঙ্গে আমি একমত, তাই ভোট দিইনি।” প্রশ্ন ওঠে, কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আনা প্রস্তাবে সমর্থন জানানোর অর্থ দলের অবস্থানের বিরোধিতা করা। রাজাগোপাল বলেন, “কখনও সর্বসম্মতির পক্ষে থাকতে হয়। সেটা দলের অবস্থানের বিপক্ষে গেলেও এটাই গণতন্ত্র।”
কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ওই বিধায়ক বিবৃতি দিয়ে তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে আসেন। বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আমার বক্তৃতাতেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছি। প্রধানমন্ত্রী যে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, সে কথাও বলেছি। এর পরে স্পিকার রুল ভেঙে পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটাভুটি না-করায় আমি ভোট দিতে পারিনি।’