দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন না কি নানা ‘বিলাসবহুল’ সামগ্রীতে সাজানো ছিল তাঁর ৬ নম্বর ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডের সরকারি বাসভবন! দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন বিজেপি নেতা বিজেন্দ্র গুপ্ত। কোথা থেকে ওই বহুমূল্য সামগ্রী কেজরীর বাসভবনে এল, তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও দাবি করলেন তিনি।
বুধবার লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) ভিকে সাক্সেনাকে লেখা একটি চিঠিতে কেজরীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলেছেন বিজেন্দ্র। তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে আপ-প্রধান যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এসেছিলেন, সে সময় পূর্ত দফতরের তরফে আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ২০২৪ সালে কেজরী যখন বাসভবন ছাড়েন, তত দিনে তাঁর মালিকানায় সংযুক্ত হয়েছে আরও নানা বিলাসবহুল আসবাব। তার মধ্যে রয়েছে দামি টয়লেট সিট, বহুমূল্য বেসিন, রিক্লাইনার সোফা, দামি পর্দা ও কার্পেট, দামি টেলিভিশন সেট এবং রেফ্রিজারেটর। বিজেন্দ্রর প্রশ্ন, ‘‘পূর্ত দফতর তো এই সব বিলাসবহুল সরঞ্জাম সরবরাহ করেনি! তা হলে কে সাজাল কেজরীওয়ালের ‘শিশমহল’?’’
বিজেন্দ্রর দাবি, কেজরীওয়ালের বাসভবনে বসানো টয়লেট সিটটিরই দাম প্রায় ১২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। অভিযোগ, এ সবই বানানো হয়েছে আবগারি নীতির বদলে পাওয়া ঘুষের টাকায়। যদিও আম আদমি পার্টি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, কেজরীর মতো সৎ নেতাকে ফাঁসাতেই এমন তত্ত্ব খাড়া করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই দিল্লির সিভিল লাইন্স এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কেজরীওয়াল। গত ৪ অক্টোবর দিল্লির ৬ নম্বর ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডের সরকারি বাসভবন ছেড়ে গিয়ে ওঠেন লুটিয়েন্স রোডের একটি বাড়িতে। বর্তমানে সেটিই আপ প্রধানের ঠিকানা। কেজরীওয়ালের খালি করা সরকারি বাংলোয় এখন রয়েছেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা।