বুধবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক বসে দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
ইদানীং কালে এমনটা দেখা যায়নি। সাধারণ ভাবে ভোট ঘোষণার পরে অন্য দলের তুলনায় দেরিতে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের ক্ষেত্রে অন্য পথে হাঁটল গেরুয়া শিবির। নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার আগেই প্রথম দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে দিল। মধ্যপ্রদেশে মোট আসন ২৩০টি। এর মধ্যে ৩৯টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয় বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের ৯০টির মধ্যে ২১টি আসনের প্রার্থীর নাম।
প্রসঙ্গত, দুই রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী নভেম্বর মাসে। মনে করা হচ্ছে দীপাবলির উৎসব মিটে গেলেই ভোট হবে ওই দুই রাজ্যে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দুই রাজ্যের ভোট বিজেপির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক বসে দিল্লিতে। দলের সভাপতি জেপি নড্ডা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। সেখানেই দুই রাজ্যের প্রথম পর্বের প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তা প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ।
ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় বড় চমক বিজয় বঘেল। তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে পাটান আসন থেকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের আসন এটি। অতীতে পাটান দুই বঘেলের লড়াই দেখেছে তিন বার। ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে হারেন বিজেপির বিজয়। তবে জিতেছিলেন ২০০৮ সালে। বিজয় ২০১৯ সালে দার্গ আসন থেকে জিতে লোকসভায় যান। ফের তাঁকে বিধানসভায় প্রার্থী করল বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজয় হেরে গেলেও বিজেপি জয় পেয়েছিল ১৫ আসনে। রাজ্যের মোট ২১ জন ঘোষিত প্রার্থীর মধ্যে দশ জন তফসিলি জাতি, এক জন উপজাতি এবং পাঁচ জন মহিলা। অন্য দিকে, মধ্যপ্রদেশে ৩৯ জন ঘোষিত প্রার্থীর মধ্যে আট জন তফসিলি জাতি, ১৩ জন উপজাতি এবং পাঁচ জন মহিলা।
এই দুই রাজ্য ছাড়াও সামনেই ভোট রয়েছে রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামে। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র মধ্যপ্রদেশেই বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে পেয়েছিল ১০৯টি আসন। সেখানে কংগ্রেস ১১৪টি আসনে জিতে সরকার গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমল নাথ। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিংহ চৌহান। পরে কংগ্রেসত্যাগী বিধায়কেরা বিজেপির টিকিটে উপনির্বাচনে জেতেন। এর ফলে এখন বিধানসভায় বিজেপির দখলে ১৩০ আসন। কংগ্রেসের হাতে ৯৬।