গত সাড়ে তিন মাস ধরে এমনই অশান্তি চলছে মণিপুরে। — ফাইল চিত্র।
মেইতেই-গরিষ্ঠ মণিপুরে তাঁদের সুরক্ষা দিতে পারবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানালেন সে রাজ্যের কুকি বিধায়কেরা। এই পরিস্থিতিতে কুকি-জ়ো জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৃথক মুখ্যসচিব এবং পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজি) নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মণিপুরের ১০ জন কুকি-জ়ো বিধায়ক ওই চিঠিতে সই করেছেন। তাঁদের মধ্যে সাত জনই শাসকদল বিজেপির।
এই ঘটনার জেরে পদ্মশিবিরের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের চিন্তা বাড়িয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন(আইএম)। মণিপুরের উখরুল, সেনাপতির মতো জেলাগুলিতে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে সে রাজ্যের নাগা বিধায়কদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে। সম্প্রতি, সে রাজ্যের ৩২ জন মেইতেই বিধায়কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন ৮ জন নাগা বিধায়ক। চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল, কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি ভেঙে দেওয়ার।
এর পাশাপাশি, কুকি অধ্যুষিত পাঁচ জেলার পৃথক প্রশাসনের দাবিরও বিরোধিতা করা হয়েছিল ওই চিঠিতে। কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে থাকা নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন (আইএম) জানিয়েছে, ওই চিঠির সঙ্গে নাগা আমজনতার স্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই ওই চিঠিতে সই করা উচিত হয়নি নাগা বিধায়কদের। বুধবার কুকি বিধায়কেরা ওই পাঁচ জেলায় তাঁদের জনজাতিভুক্ত পুলিশ সুপার নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।