Rajasthan Assembly Election 2023

রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে জোড়া কমিটি গড়ল বিজেপি, একটিতেও ঠাঁই হল না বসুন্ধরা রাজের!

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ নারায়ণ পঞ্চারিয়াকে। নির্বাচনী ইস্তাহার কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জয়পুর শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৫৬
Share:

বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে। — ফাইল চিত্র।

জল্পনা ছিল ভোটমুখী রাজস্থানে দলের অন্দরে চাপে পড়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তারই আঁচ মিলল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে কার্যত ছেঁটে ফেললেন বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।

Advertisement

বিধানসভা ভোট পরিচালনা এবং নির্বাচনী ইস্তাহার প্রস্তুতের জন্য দু’টি পৃথক কমিটি গড়া হয়েছে বিজেপির তরফে। কোনও কমিটিতেই ঠাঁই পাননি বসুন্ধরা। ২১ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ নারায়ণ পঞ্চারিয়াকে। অন্য দিকে, ২৫ সদস্যের নির্বাচনী ইস্তাহার (বিজেপির ভাষায় ‘প্রদেশ সঙ্কল্পপত্র’) কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল। রাজ্য বিজেপির সভাপতি চন্দ্রপ্রকাশ জোশী এবং রাজস্থানের বিজেপি নেতা তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অরুণ সিংহ জয়পুরে দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেছেন।

অরুণ বলেন, ‘‘বসুন্ধরা আমাদের দলের প্রথম সারির নেত্রী। অবশ্যই তাঁকে প্রচারের সামনের সারিতে দেখা যাবে।’’ তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে মরুরাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপির ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে কাকে দেখা যাবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি সাংবাদিক বৈঠকে। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরাকে ‘মুখ’ করেই বিধানসভা ভোটে যেতে চায় তাঁর শিবির, কিন্তু তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে ভোটে লড়তে চান।

Advertisement

চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, মিজোরামের সঙ্গেই রাজস্থানে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সে রাজ্যে মুখোমুখি লড়াই শাসক দল কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপির মধ্যে। বসুন্ধরার ঠাঁই না হলেও, রাজ্য বিজেপিতে তাঁর ‘বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত কিরোরিলাল মীনা, ঘনশ্যাম তিওয়ারিরা রয়েছেন কমিটিতে। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, চলতি মাসে বিধানসভা ভোটের প্রচার কমিটি গড়তে পারেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে স্থান হতে পারে বসুন্ধরার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement