—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওবিসি, দলিতদের মধ্যে দলের ভোটভিত্তি বাড়ানো এবং তাদের মন জয় করতে কোমর বাঁধছে বিজেপি এবং আরএসএস। লোকসভায় ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি রাজ্যের ভোটে হলে নয়াদিল্লির মসনদে যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল এনডিএ সরকার চাপে পড়ে যাবে, এটা বুঝতে পারছে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির জোটও। আর তাই ধনগড় সম্প্রদায়ভুক্ত (ওবিসি) মরাঠা শাসক মহারানি অহল্যাবাই হোলকরের ৩০০তম জন্মবার্ষিকী পালন করার জন্য বড় মাপের পরিকল্পনা করছে আরএসএস।
বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে আর মাস দুয়েকের মধ্যেই। সূত্রের খবর, জয়ের লক্ষ্যে বিজেপি তার ‘মাধব’ সূত্র এ বারে প্রয়োগ করতে তৎপর। ‘মাধব’ অর্থাৎ ওবিসি-র মধ্যে সামাজিক সমন্বয়ের কৌশল। মালি, ধনগড় আর বানজারা মিলিয়ে এই ‘মাধব সূত্র’। লোকসভার ফলাফলের পরে মরাঠাদের সংরক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও ওবিসি হতাশার পরিণামে বিজেপি এবং আরএসএস এ বার সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে। অহল্যাবাইকে ঘিরে বড় মাপের উৎসবের পরিকল্পনা এই ‘মাধব সূত্রে’র সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার একটি মন্তব্যকে ঘিরে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল মরাঠা মহলে। নড্ডা বলেছিলেন, ভোটে জেতার জন্য বিজেপির আরএসএসকে প্রয়োজন নেই। এই মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। এর পরে আরএসএস প্রকাশ্যেই তাদের প্রচারমাধ্যমের প্রধান সুনীল অম্বেকরকে দিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলায়, সঙ্ঘ কখনওই সরাসরি কোনও নির্বাচনের জন্য কাজ করে না। তবে বরাবরই জনসাধারণের মতামত এবং সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করে। এ বারেও করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার যে ভাবে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার কথা তুলে ধরে কংগ্রেসের সংবিধান-বিরোধী বয়ানকে সামনে নিয়ে আসছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরএসএস-এর এই কর্তা জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, তার দিকে নজর রাখতে হবে।