Swati Maliwal Assault Case

‘বৈভব প্রভাবশালী, সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন’, আদালতে জানাল পুলিশ

গত সোমবার কেজরীওয়ালের বাসভবনে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বাতী মালিওয়াল। এমনকি, তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে বৈভবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১১:৩৮
Share:

(বাঁ দিকে) বৈভব কুমার এবং আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। — ফাইল চিত্র।

আম আদমি পার্টির (আপ) সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে ধৃত বৈভব কুমারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে একাধিক যুক্তি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মারাত্মক বলে দাবি পুলিশের। আদালত বৈভবকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

গত সোমবার কেজরীওয়ালের বাসভবনে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বাতী। এমনকি, তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে বৈভবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তার পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শনিবার কেজরীওয়ালের বাসভবন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। রাতের দিকে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়।

আদালতে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘‘এটি অত্যন্ত গুরুতর মামলা। এক জন সাংসদ তথা জনপ্রতিনিধিকে নির্মম ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, যা মারাত্মক হতে পারে। অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করছেন।’’ হেফাজতে নেওয়ার আবেদনপত্রে উত্তর দিল্লির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, এই হামলার নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য ছিল, কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আর সেই কারণেই অভিযুক্তকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।

Advertisement

পুলিশের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, তারা বৈভবের কাছে তাঁর ফোনের পাসওয়ার্ড চেয়েছিল, কিন্তু তা দিতে তিনি অস্বীকার করেন। তিনি প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। মুম্বইয়ে ফোনটি ফরম্যাট করা হয়। ফলে ফোনের যাবতীয় তথ্য মুছে গিয়েছে। তবে বৈভব দাবি করেছেন, তাঁর ফোন একাধিক বার হ্যাং হয়ে যাচ্ছিল, সেই কারণেই ফরম্যাট করার প্রয়োজন পড়েছিল।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বৈভবকে তারা মুম্বইয়ে নিয়ে যেতে চায়। সেখানেই তাঁর উপস্থিতিতে বিশেষজ্ঞের সাহায্যে মোবাইলটির লক্ খোলা হবে। অভিযুক্ত সাক্ষীদের হুমকি দিতে পারেন। সেই সঙ্গে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করতে পারেন। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। পুলিশের কথায়, ‘‘অভিযুক্ত বিগত ন’বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে একটি পদে কাজ করার সুবাদে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। সাক্ষ্য বদলের জন্য চাপ দিতে পারেন। অপরাধের ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতিতে প্রমাণ নষ্ট করার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।’’ শনিবার বৈভব আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন আদালতে। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement