আগরতলায় ধৃত কংগ্রেস কর্মীদের কোর্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
কংগ্রেস-বিজেপি সংঘর্ষকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা দিল্লি পর্যন্ত গড়াল। সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের পদত্যাগ দাবি করেছেন। অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব দাবি করলেন, গুন্ডা এনে ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। নাম না করে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায়বর্মণকে নিশানা করেন তিনি।
গত কাল আগরতলায় কংগ্রেসের সভায় হামলায় আহত হন সুদীপ রায়বর্মণ, তাঁর দেহরক্ষী। পরে প্রদেশ কংগ্রেস অফিসেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের অভিযোগের তির বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশ পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের। আজ ত্রিপুরার তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন গত কালের ঘটনার পিছনে সিপিএম রয়েছে। তাদের স্বার্থেই কাজ করছেন সুদীপ রায়বর্মণ।
গত কালের ঘটনার প্রেক্ষিতে আগরতলায় গ্রেফতার হয়েছেন কংগ্রেসের ৮ জন কর্মী। কিন্তু কংগ্রেসের দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে এক জনকেও গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা আশিস কুমার সাহা।
গত কালের ঘটনায় পুলিশ কংগ্রেসের ৮ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে। আজ তাঁদের কোর্টে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ সূত্রধর জানিয়েছেন, তাঁদের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আহত এক পুলিশকর্মী গোবিন্দবল্লভ পন্থ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে যান মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু গুন্ডা এনে ত্রিপুরায় সন্ত্রাস করার অধিকার এই সরকার। ঘটনার নায়ক আগেও এ কাজ করেছেন।’’ নাম না করলেও বিপ্লবের ইঙ্গিত যে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সুদীপের দিকে তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও।
দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় অশান্তির আগুন জ্বলছে। ত্রিপুরার বিজেপি সরকার এখন দিশেহারা হয়ে আছে। কারণ সারা রাজ্যে বিজেপির কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করছেন। ওই দলের সংগঠনের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল ভাবে দেখা দিয়েছে। ফলে এমন হামলা হচ্ছে।’’