নিজেকে গুলি করানোর জন্য তিন যুবককে কাজে লাগিয়েছিলেন তরুণী। প্রতীকী ছবি।
রাত তখন ৮টা। হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকে পড়লেন এক তরুণী। হাত থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছিল তাঁর। তরুণীকে আহত অবস্থায় দেখে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। কী হয়েছে জানতে চাওয়ায়, তরুণী পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এই ঘটনায় অঙ্কিত শাহ নামে এক ব্যক্তি জড়িত। পুলিশ তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে অঙ্কিতের নামে অভিযোগ দায়ের করে।
কিন্তু পুলিশ তদন্তে নামতেই পুরো ঘটনাটি পাল্টে গিয়েছিল। ঘটনাচক্রে, তরুণী যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেই অঙ্কিতের দাদাকে খুনের অভিযোগে তাঁর প্রেমিক রাজা শাহ জেলে বন্দি। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিককে বাঁচাতে তাই নিজেকে গুলি করানোর ছক কষেন তরুণী। এর জন্য তিন জনকে সঙ্গেও নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন তরুণীর হাতে গুলি করেন। আর এই হামলার অভিযোগ অঙ্কিতের ঘাড়ে চাপিয়ে তাঁকে জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অঙ্কিত জেলে গেলেই তরুণীর প্রেমিক রাজা তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারতেন যাতে, অঙ্কিত নিজ মুখে স্বীকার করেন যে, দাদাকে তিনিই খুন করেছেন। আর অঙ্কিত এ কথা স্বীকার করলেই জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার রাস্তা আরও মসৃণ হত রাজার। কিন্তু তার আগেই পুলিশ সেই ছক ভেস্তে দিয়ে গ্রেফতার করেছে তরুণীকে। গত ৮ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহারে।