—প্রতীকী চিত্র।
দিল্লিতে এক বিহারি মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। মাদক খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই মহিলার মোবাইল ফোন এবং টাকাপয়সাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় এক ই-রিক্সা চালককে গ্রেফতার করেছে।
বিহার থেকে তিন বছরের শিশুকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্জাবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওই মহিলা। পঞ্জাবে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। গত ২৬ মে দিল্লি স্টেশনে নেমে ওই মহিলা সদর মার্কেটে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে স্টেশনে ফেরার জন্য একটি ই-রিক্সায় উঠেছিলেন বলে পুলিশকে জানান। অভিযোগ, ওই ই-রিক্সা চালক তাঁকে একটি পানীয় দিয়েছিলেন। তা খাওয়ার পরেই সংজ্ঞা হারান মহিলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানীয়ে মাদক মিশিয়ে মহিলাকে খাইয়েছিলেন অভিযুক্ত। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পরিত্যক্ত এলাকায়। সেখানে অভিযুক্ত ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর জ্ঞান ফিরলেও মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে আবার সংজ্ঞাহীন করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যখন জ্ঞান ফেরে, তিনি দেখতে পান রাস্তার উপর তিনি পড়ে আছেন। তাঁর সন্তান পাশে বসে কাঁদছে।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর মোবাইল এবং তিন হাজার টাকা চুরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মহিলাকে উদ্ধার করে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করে পুলিশ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। অভিযুক্তকে ধরতে একটি বিশেষ দলও গঠন করেছিলেন তদন্তকারীরা। এলাকার প্রায় ৫০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তাঁরা খতিয়ে দেখেন। ব্যাটারিচালিত একটি রিক্সার খোঁজ মেলে। এর পর প্রায় ১৫০ জন ই-রিক্সা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। ২৯ তারিখ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে মহিলার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।