গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কয়েক ঘণ্টাতেই বদলে গেল বিহারের পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসাব। নীতীশ কুমার এনডিএ জোট ছাড়ার ঘোষণার পরেই মগধভূমের রাজনীতিতে ফের নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ল বিজেপি। আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেস-বামেদের পাশাপাশি মঙ্গলবার মহাগঠবন্ধনে শামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (হাম)-ও।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একটি আসন বর্তমানে খালি রয়েছে। গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন। মঙ্গলের বারবেলার হিসাব বলছে, বিজেপি বিরোধী শিবিরে রয়েছে অন্তত ১৬৪ জন। এঁদের মধ্যে নীতীশ ১৬৩ জনের সমর্থন পেতে পারেন। অর্থাৎ গত দু’বছর সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার চালানো নীতীশ এ বার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারেন।
আরজেডির ৭৯, জেডি(ইউ)-র ৪৫, কংগ্রেসের ১৯ এবং ১৬ জন বাম বিধায়কের পাশাপাশি হাম-এর চার জনও রয়েছেন নীতীশের পাশে। এমনকি একমাত্র নির্দল বিধায়ক, বিজেপি-ঘনিষ্ঠ সুমিত সিংহের সঙ্গেও তাদের ‘যোগাযোগ’ রয়েছে বলে নীতীশের দল জেডি(ইউ)-র দাবি। অন্য দিকে, রাতারাতি বিরোধী দলে পরিণত বিজেপির রয়েছে ৭৭ জন বিধায়ক।
হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এআইএমআইএম বা মিম)-এর এক বিধায়ক নীতীশকে সমর্থন না করলেও বিজেপির দিকে যাবেন না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান। ফলে পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন মহাগঠবন্ধনের নেতারা।