(বাঁ দিকে) পটনার রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ। জন সুরাজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোর (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
বিহারে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। পরীক্ষায় কারচুপি এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার রাতে সেই দাবিতে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী পটনার গান্ধী ময়দানে জড়ো হন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়িতে মিছিল করে এগোতে শুরু করলে পুলিশ তাঁদের থামাতে লাঠিচার্জ করে। চাকরিপ্রার্থীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিহারের জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগে রাতেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
বিহার পুলিশের বক্তব্য, পটনার গান্ধী ময়দানে জমায়েত করতে চেয়ে পিকে শনিবারই পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সেই সিদ্ধান্তও তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তার পরেও পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রবিবার গান্ধী ময়দানে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী জমায়েত করে, যে কর্মসূচিকে সমর্থন করেন পিকেও।
৭০তম বিপিএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই পরীক্ষা বাতিল চেয়ে চাকরিপ্রার্থীরা পথে নামেন গত ১৩ ডিসেম্বর। সেই থেকে বিক্ষোভ চলছে। বার বার এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে আক্রমণ করেছেন পিকে। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বিহারের চাকরির পরীক্ষাগুলিতে কারচুপি চলছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বার বার দিল্লি যেতে পারেন, এক বার নিজের রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। বিহারে চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনকে রাজ্যের অনেক শিক্ষাবিদ এবং বিরোধী রাজনীতিকেরাও সমর্থন করেছেন।
রবিবার রাতে গান্ধী ময়দান থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে মিছিল করে হাঁটতে শুরু করেন। তাঁদের ঠেকাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়। অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় ফেলে মারধরও করা হয়েছে।
পিকে-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিহার পুলিশ। এ ছাড়া, ৬০০-র বেশি বিক্ষোভকারীকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও তাঁদের শনাক্ত করা যায়নি।