ফাইল চিত্র।
শ্রীনগরের ডাল লেকে শিকারার উপরে নায়িকার উদ্দেশে গান গাইছেন নায়ক। বলিউডি ছবির এই দৃশ্যটা গেঁথে আছে অনেকেরই মনে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আর অশান্তির জেরে কার্যত স্তব্ধ কাশ্মীরে শিকারা আপাতত বাঁধা আছে তীরেই। বিকল্প জীবিকার খোঁজে আনাজ বিক্রি শুরু করেছেন শিকারা মালিকেরা।
ডাল লেকের ধারে বুলেভার্ড রোডে অন্তত ৫০টি অস্থায়ী আনাজের দোকান তৈরি করেছেন শিকারা মালিকেরা। মূল বাজার বন্ধ থাকায় সেখানে ভিড়ও হচ্ছে বেশ। শিকারা অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা ইয়াকুব বকল বললেন, ‘‘তিন সপ্তাহ ধরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। পর্যটক নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমরা অন্য কাজ করছি। দিনে ৫০০-৬০০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তাতে অন্তত প্রতিদিনের খাওয়া জুটছে।’’
ইয়াকুব জানিয়েছেন, জুলাইয়ে বুলেভার্ড রোডে দেখা যাচ্ছিল দলে দলে পর্যটক। শিকারাতেও চড়ছিলেন অনেকে। এখন স্থানীয়েরাও আর শিকারায় চড়েন না। শিকারা মালিকেরা জানাচ্ছেন, কাশ্মীরে পর্যটন ব্যবসার উপরে প্রত্যক্ষ ভাবে ৩৫ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। ফলে সমস্যা অত্যন্ত কঠিন।