গৌতম নওলখা।
ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় সমাজকর্মী গৌতম নওলখাকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সে দিনই মামলার পরের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারকে তদন্তে এ পর্যন্ত পাওয়া সব তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। মহারাষ্ট্র সরকার এর আগে ‘ক্যাভিয়েট’ জমা দিয়েছিল, যাতে তাদের বক্তব্য না-শুনে শীর্ষ আদালত একতরফা কোনও সিদ্ধান্ত না-নেয়।
বম্বে হাইকোর্ট গত ১৩ সেপ্টেম্বর বলেছিল, নওলখাকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। তবে ঘটনাটি বিশাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাওবাদী-যোগের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তাই তদন্ত হওয়া দরকার। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যান নওলখা। বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও দীপক গুপ্তকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ জানায়, পরের শুনানির আগে গ্রফতার করা যাবে না নওলখাকে।
২০১৭-র ৩১ ডিসেম্বর দলিতদের ‘এলগার পরিষদ’ অনুষ্ঠানের পর দিনই হিংসা ছড়িয়েছিল পুণে জেলার ভীমা কোরেগাঁও এলাকায়। এই সূত্রে পুলিশ ২০১৮-র জানুয়ারিতে নওলখা, ভারাভারা রাও, অরুণ ফেরেরা, ভারনন গঞ্জালভেস ও সুধা ভরদ্বাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এই মামলা শোনার ঠিক আগে সুপ্রিম কোর্টের মোট পাঁচ জন বিচারপতি সরে দাঁড়িয়েছেন গত কয়েক দিনে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গৈগৈ ৩০ সেপ্টেম্বর নিজেকে এই মামলা শোনা থেকে অব্যাহতি দেন। পর দিন শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি এন ভি রামান্না, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বি আর গবই-কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে। তিন জনই সরে দাঁড়ান। মামলা যায় বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিনীত সরণ এবং এস রবীন্দ্র ভাটকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে। কিন্তু গত কাল বিচারপতি ভাটও সরে দাঁড়ান।