রাহুল গাঁধী। -ফাইল চিত্র।
অভিযুক্ত জম্মু-কাশ্মীরের ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংহের সঙ্গে জঙ্গি-যোগের তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়ে বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শুক্রবার একটি টুইট করে এমনই আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেন রাহুল গাঁধী।
সম্প্রতি ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে জম্মু-কাশ্মীর থেকে তিন জঙ্গিকে সুরক্ষিত ভাবে দিল্লিতে পৌঁছতে গিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের ওয়ান পো এলাকায় গ্রেফতার হন জম্মু-কাশ্মীরের ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংহ। যে গাড়িতে তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। এর পর থেকেই তাঁকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে। হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের সঙ্গে ধৃত জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংহকে প্রথমে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে সাহসিকতার জন্য পাওয়া মেডেলও।
এর মধ্যেই কেন্দ্র প্রশাসন স্থির করেন, ওই মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্রসচিব এ কে ভল্লার সঙ্গে বৈঠকে বসেন এনআইএ-র ডিজি ওয়াই সি মোদী। মামলার তদন্তভার যে এনআইএ-কেই দেওয়া হচ্ছে, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে খুব তাড়াতাড়ি নোটিসও জারি করা হবে।
আরও পড়ুন:
মুকেশের ফাঁসি হচ্ছেই, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি
হাতে আর কয়েক ঘণ্টা, ফের জামা মসজিদ চত্বরে চন্দ্রশেখর
বৃহস্পতিবার রাহুল গাঁধী টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে জানতে চেয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালদের এ বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকার কারণ কী?’ আর আজ শুক্রবার তিনি টুইট করে, ‘ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংহের মুখ বন্ধ রাখার সর্বোত্তম রাস্তা হল মামলাটি এনআইএ-র হাতে তুলে দাও।’ টুইটে তার কারণও তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘এনআইএ-র মাথায় বর্তমানে রয়েছেন আর এক মোদী- ওয়াই কে মোদী। তাঁর অধীনেই গুজরাত দাঙ্গা এবং হরেন পাণ্ড্যের হত্যার তদন্ত হয়েছিল।’ এরপর তিনি হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লেখেন #হুওয়ানটসটেররিস্টদেবেন্দ্রসিং
অনেকগুলো প্রশ্নের সারি ধরে একটা ব্যানারও পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘রক্তমাখা তিন সন্ত্রাসবাদীকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন ডিএসপি দেবেন্দ্র সিংহ। তাঁর বিচার ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে ছ’মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হওয়া উচিত। এবং দোষী প্রমাণিত হলে কড়া সাজা দিতে হবে।’ কিন্তু তা না করে তাঁকে কে সুরক্ষা জুগিয়ে যাচ্ছেন এবং কেন? এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাই বা চুপ কেন? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।