—প্রতীকী ছবি
শুধু নবীন নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে কাজ চলবে না বুঝে ভোটমুখী রাজ্যে এ বার প্রবীণ নেতাদেরও মাঠে নামাল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে আসন্ন বিধানসভা ভোটের জন্য আজ কংগ্রেস প্রবীণ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। তাঁদের মধ্যে দুই মুখ্যমন্ত্রী— রাজস্থানের অশোক গহলৌত ও ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেলও রয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে জিতিন প্রসাদ, অসমে ভাঁওয়ার জিতেন্দ্র সিংহ, তামিলনাড়ুতে দীনেশ গুণ্ডু রাওয়ের মতো অপেক্ষাকৃত নবীন নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। একমাত্র কেরলের দায়িত্বে ছিলেন তুলনায় পোড়খাওয়া তারিক আনোয়ার। কিন্তু কেরলে সম্প্রতি পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে খারাপ ফল হওয়ায় দলীয় নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়েছে। কারণ, রাহুল গাঁধী এখন কেরলের সাংসদ। এই পরিস্থিতিতে আজ গহলৌতের সঙ্গে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিন্হো ফেলেরো ও কর্নাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরকে প্রবীণ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভূপেশ বঘেলের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়াসনিক ও শাকিল আহমেদ খানকে অসমে পাঠানো হচ্ছে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, কেরল ও অসমে ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা জোরদার করতেই দুই মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুদুচেরিতে লড়াই ক্ষমতা ধরে রাখার। অর্থের টানাটানি না হয়, তা দেখার জন্যও অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পড়েছে কর্নাটকের বি কে হরিপ্রসাদ, পঞ্জাবের মন্ত্রী বিজয় ইন্দ্র সিংলা ও ঝাড়খণ্ডের আলমগীর আলমের উপরে। এআইসিসি-র তরুণ নেতাদের সঙ্গে রাজ্যের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে ‘ইগোর লড়াই’ সমস্যা হয়ে উঠছিল। প্রবীণ নেতারা গেলে সেই সমস্যাও এড়ানো যাবে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে।