Bengaluru Techie

অতুলের স্ত্রীর বাড়িতে নোটিস সাঁটাল পুলিশ, ‘জুলুমবাজি’তে গ্রেফতার শাশুড়ি এবং শ্যালক!

শুক্রবার নিশা এবং অনুরাগ, দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জনের বিরুদ্ধে অতুলকে হেনস্থা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, তাঁর থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৬
Share:

আত্মঘাতী বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষ। ছবি: সংগৃহীত।

মাঝরাতে উত্তরপ্রদেশের জালাউনের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন আত্মঘাতী বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের শাশুড়ি এবং শ্যালক। শুক্রবার তাঁদের গ্রেফতার করেছে কর্নাটক পুলিশ। কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের, সেই বিষয়ে বিশদে কিছু জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। তলব করা হয়েছে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়াকে। জালৌনে তাঁর বাড়ির দরজায় নোটিস সাঁটানো হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেখানে দেখা গিয়েছিল, মাঝরাতে বাইকে চেপে বাড়ি ছাড়ছেন অতুলের শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া। অতুলের শ্যালক অনুরাগ সিংহানিয়াও বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকে তাঁদের বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছিল। শুক্রবার নিশা এবং অনুরাগ, দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জনের বিরুদ্ধে অতুলকে হেনস্থা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, তাঁর থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অতুল আত্মহত্যার আগে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিলেন নিকিতা এবং তাঁর পরিবার। সেই মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য তিন কোটি টাকা দাবি করেছিলেন তাঁরা। এর পরেই নিশা এবং অনুরাগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিকিতার উত্তরপ্রদেশের বাড়ির বাইরে নোটিসও ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্নাটক পুলিশ। সেখানে লিখেছে, ‘‘আপনাকে জেরার করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তিন দিনের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে হাজিরা দিতে হবে আপনাকে।’’

Advertisement

গত সোমবার বেঙ্গালুরুর ভাড়াবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অতুল। তার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখে প্রকাশ করেন। ৯০ মিনিটের একটি ভিডিয়োতেও নিজের বার্তা দেন। সেখানে স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। নিকিতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে অতুলের। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার মামলাও করেছিলেন নিকিতা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, পণের জন্য চাপ দিয়েছিলেন অতুল। ‘পাশবিক অত্যাচার’ করেছিলেন তাঁর উপর। সেই মামলাতে উত্তরপ্রদেশের আদালত অতুলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল। তার পরেই বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ ভেঙে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। অতুলের পরিবার নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের শাস্তির দাবি তুলেছেন। নিকিতার পরিবার যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেন, ‘‘যা হয়েছে, তার জন্য আমরা দায়ী নই। শীঘ্রই এর প্রমাণ দেব। আমরা কোনও ভুল করিনি। অতুলের মৃত্যুতে আমরাও দুঃখিত।’’ শুক্রবার অতুলের শাশুড়ি এবং শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে তলব করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement