জলের জন্য হাহাকার। ছবি: পিটিআই।
১৪ হাজার নলকূপ থাকলেও তার মধ্যে শুকিয়ে গিয়েছে ৭০০০টি। জলসঙ্কটে জেরবার বেঙ্গালুরুতে হাহাকার কবে দূর হবে, তার স্পষ্ট দিশা দেখাতে পারছে না প্রশাসন। শহরে প্রতি দিন যেখানে ২৬০ কোটি লিটার জল লাগে, কিন্তু নলকূপগুলি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সেই ঘাটতি মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই সঙ্কট দূর করতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতি দিন কী ভাবে জলের চাহিদা মেটানো যায়, তার পরিকল্পনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুতে মোট ১৪ হাজার নলকূপ রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে ৬,৯০০ নলকূপ একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে। শহরে প্রতি দিন ২৬০ কোটি লিটার জল ব্যবহার হয়। তার মধ্যে কাবেরী নদী থেকে আসে প্রায় ১৫ কোটি লিটার এবং ৬৫ কোটি লিটার আসে নলকূপ থেকে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে নলকূপ শুকিয়ে যাওয়ায় প্রতি দিন ৫০ কোটি জলের ঘাটতি হচ্ছে। যার জেরে নাকাল হতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
তবে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে কাবেরীর উপর যে পাঁচটি যে প্রকল্প রয়েছে তা চালু হয়ে গেলেই। এই প্রকল্প চালু হলেই ১১০টি গ্রাম তার আওতায় আসবে, যেগুলিকে ২০০৬-’০৭ বেঙ্গালুরু পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জুন পর্যন্ত পানীয় জলের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে আরও ৩১৩টি এলাকায় ১২০০টি নলকূপ খনন করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও যে সব হ্রদগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে, সেগুলিকেও সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই জলসঙ্কট কত দিনে কাটবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা দেয়নি প্রশাসন।