শিলচরের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভেলা। নিজস্ব চিত্র
বিধ্বস্ত ডিমা হাসাওয়ে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে বিমানবাহিনী শুক্রবারও উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখল। দু’দিনে উদ্ধার করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। এ দিনও হাফলঙে আটকে পড়া শতাধিক মানুষকে শিলচরে পৌঁছনো হয়। ২৪ টন খাদ্যসামগ্রীও হাফলঙে পৌঁছে দিয়েছে বায়ুসেনা। ইসরো-র বিশেষজ্ঞদের দল ড্রোন ও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানায়, রাজ্যে এখন ২৯টি জেলার ২৫৮৫টি গ্রামে বন্যা চলছে। বন্যা কবলিতের সংখ্যা ৮,১২,৬১৯। ৩৪৩টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৮৭ হাজার মানুষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে সরকারি হিসেবে দাঁড়িয়েছে ১৪।
দু’দিন ধরেই অবশ্য বরাক উপত্যকার নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি থেমে গিয়েছে। তবু বিভিন্ন এলাকা এখনও জলের তলায়। অনেক এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বিদ্যুতের লাইন কেটে রাখা হয়েছে। শিলচরের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালের সামনে কোমর সমান জল। রোগীরা হাসপাতালে ঢুকতে পারছিলেন না। হাসপাতালের ডিরেক্টর রবি কান্নান জেলা প্রশাসনের কাছে নৌকো চাইলেও মেলেনি। শেষে হাসপাতালের কর্মীরাই রাবারের টিউব কিনে এনে ভেলা বানিয়ে নেন। হাসপাতালের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার কল্যাণ চক্রবর্তী জানান, এ ভাবে না আনলে বেশ কয়েক জন রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হতো। ওই জল বার হতে অন্তত দু’দিন লাগবে।
টানা বৃষ্টিতে গুয়াহাটির বিভিন্ন স্থানে ধস নামছে। বিশেষ করে চুনচালি, খানাপাড়া, খারঘুলি, চাঁদমারি, পান্ডু, নুনমাটি, উলুবাড়িতে বেশি ঘটছে এমন ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর গুয়াহাটিতে ৩৬৬টি এলাকাকে ধস প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করল। সার্কেল অফিসারেরা ওই সব এলাকা খালি করতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অধীনে নোটিস দিয়েছেন। ইউনিসেফের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শদাতাদের সাতটি দল ত্রাণ পরিস্থিতি তদারক করছে।