প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির পর থেকেই দিল্লি এবং এনসিআরের স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের হাজিরা কমতে শুরু করেছে। অভিভাবকেরা পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিও বিষয়টি নিয়ে ধন্দে পড়েছেন। পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আগামী দিনে এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে যাতে দ্রুত উদ্ধারের কাজ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে স্কুলগুলিতে।
গত বুধবারই দিল্লি, এনসিআর এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা, গাজ়িয়াবাদে দুশোর বেশি স্কুলে হুমকি মেল পাঠানো হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুলগুলিতে। তড়িঘড়ি স্কুলগুলি খালি করানো হয়। যে সব স্কুল এই হুমকি মেল পেয়েছে, সব ক’টি বয়ানই এক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। হুমকি মেল প্রেরকের ঠিকানাও খুঁজে বার করেছে পুলিশ। যদিও এই হুমকির পরেও কোনও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলেও দাবি পুলিশের। কিন্তু সেই হুমকি মেল আসার পর থেকেই পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর থেকেই পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। যার জেরে দিল্লি এবং এনসিআরের বহু স্কুলে হাজিরার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের আশ্বস্ত করছেন। দ্বারকার এক স্কুলের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, অভিভাবকেরা এখনও তাঁদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে হাজিরা এক ধাক্কায় ৯৭ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে। স্কুলগুলি থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে অভিভাবকদের কাছে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাঁদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।