ধৃত পাক গুপ্তচর মহম্মদ সাকলাইন। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পলাতক এক যুবককে গ্রেফতার করল গুজরাতের ‘অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)’। অভিযুক্ত যুবকের নাম মহম্মদ সাকলাইন। তিনি গুজরাতের জামনগরের বাসিন্দা। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করেন এটিএস আধিকারিকরা। অভিযোগ, একটি ভারতীয় সিম কার্ড কিনে হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানের একটি চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন সাকলাইন। বিভিন্ন তথ্যও পাচার করতেন। এটিএস সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির জন্যও সাকলাইনের নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে, পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত থেকেই লাভশঙ্কর মহেশ্বরী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস। পরে জানা যায়, লাভশঙ্কর পাকিস্তানের বাসিন্দা। স্ত্রীর চিকিৎসার নাম করে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে কোনও ভাবে ভারতীয় হওয়ার ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করিয়েছিলেন তিনি। মহেশ্বরীর বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের ফোনে স্পাইওয়্যার পাঠানোর অভিযোগও উঠেছিল। সূত্রের খবর, সেই লাভশঙ্করকে সিম কার্ড সরবরাহ করেছিলেন সদ্য এটিএসের হাতে ধৃত সাকলাইন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে লাভশঙ্কর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সাকলাইন পলাতক ছিলেন। যদিও তদন্তকারীরা মনে করছেন লাভশঙ্করের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল না সাকলাইনের। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন ‘মিডলম্যান’ ছিলেন। তাঁদের মাধ্যমেই তথ্য এবং সিমকার্ড আদান প্রদান হত।