তাইল্যান্ডে সমলিঙ্গে বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে। —ফাইল চিত্র।
সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিল তাইল্যান্ড। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রথম কোনও দেশ এই ধরনের বিবাহে স্বীকৃতি দিল। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ডের শয়ে শয়ে সমকামী যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। দেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় তাইল্যান্ড সরকারের এই পদক্ষেপকে নিজেদের বড় জয় হিসাবে দেখছে। দীর্ঘ সময় ধরে সমলিঙ্গ বিবাহে আইনি স্বীকৃতির দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
ব্যাঙ্ককে বৃহস্পতিবার সমলিঙ্গ বিবাহ উপলক্ষে এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় একটি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘ব্যাঙ্কক প্রাইড’ যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, সেখানে অন্তত ২০০ জন সমকামী যুগল বিবাহের খাতায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন।
সমলিঙ্গ বিবাহ সম্পর্কিত বিল আগেই তাইল্যান্ডের সংসদে পাশ হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা রাজার অনুমোদনও পায়। সম্প্রতি তা আইনে পরিণত করা হল। তাতে বলা হয়েছে, আইনের খাতায় সমকামী যুগলদের বিবাহ নথিভুক্ত করানোর অধিকার রয়েছে। এই ধরনের বিয়েতে তাঁরা আইনি, আর্থিক এবং মেডিক্যাল পরিষেবা গ্রহণের সম্পূর্ণ সুবিধা পাবেন। সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকারও দেওয়া হচ্ছে সমলিঙ্গ দম্পতিদের।
তাইল্যান্ডের মহিলা প্রধানমন্ত্রী পায়টংটার্ন শিনাওয়াত্রা একটি অডিয়োবার্তায় বলেন, ‘‘লিঙ্গবৈচিত্র সম্পর্কে তাই সমাজের বৃহত্তর সচেতনতার সূচনা করে আমাদের এই বিবাহ সমতা আইন। যৌন ইচ্ছা, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সকলকে আপন করে নিই। প্রত্যেকের সমান অধিকার এবং সমান মর্যাদা প্রাপ্য।’’ বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ককের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা শোনানো হয়েছে।
সামাজিক সাম্যের ক্ষেত্রে সমলিঙ্গে বিবাহের স্বীকৃতিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এটি এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সম্মিলিত চেষ্টার সুফল। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ভালবাসার বিজয়ের দিন। বিবাহে সমতা আইন পাশের জন্য দু’দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই চলেছে। অনবরত সমাজের গোঁড়ামির সঙ্গে লড়াই করে এই দিন এল। এটা সকলের চেষ্টার ফল। আজ রামধনু পতাকা সগর্বে তাইল্যান্ডের আকাশে উড়ছে।’’