মমতার চেষ্টা সত্ত্বেও অভিষেক মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না, বীরভূম থেকে তোপ অমিত শাহের। ফাইল চিত্র।
বীরভূমে এসে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নাম মুখে নিলেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেকের নামোল্লেখ করেননি তিনি। শুক্রবার বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে শাহ বলেন, “মমতাদিদি যতই চান না কেন, ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি থেকে কেউ হবেন।” পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরছে না, এই বার্তাই শাহ দিতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য ওই সভা থেকেই এক ধাপ এগিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “২০২৫-এর আগেই তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে।” রাজ্যে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে। যার অর্থ, শাহ দাবি করছেন, ৫ বছরের মেয়াদ পূরণের আগেই তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে।
গোটা বক্তব্যের অনেকাংশেই ‘পরিবারবাদ’ নিয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ বক্তব্য রাখার আগেই তার সুরটি অবশ্য বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মাত্র দু’টি রাজ্যে এখনও পরিবারবাদ রয়ে গিয়েছে। একটি বাংলা, অপরটি তেলঙ্গানা। বিজেপি এই রাজ্যগুলো থেকেও পরিবারবাদকে নির্মূল করবে।” বিরোধী দলনেতার কথার সূত্র ধরেই পরিবারতন্ত্র নিয়ে সরব হন শাহ-ও। দিদি এবং ভাতিজাকে একই বন্ধনীতে রেখে তাঁদের বিরুদ্ধে দাদাগিরি চালানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। আবার এই দাদাগিরি বন্ধ করার কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন শুভেন্দুকেই। মমতা এবং অভিষেককে রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষবিন্দু ধরে নিয়েই দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ বন্ধে দিদি-ভাতিজার ব্যর্থতা নিয়ে শাসক তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি। এই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “যা করার করে নিন দিদি আর ভাইপো, আমরা দুর্নীতি বন্ধ করে ছাড়ব। বাংলার যুবকদের চাকরি দেওয়ার নামে দুর্নীতি চলবে না।”
বীরভূমের সভা থেকেই লোকসভা ভোটে আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন শাহ। তিনি ২০২৪-এর নির্বাচনে রাজ্য থেকে বিজেপিকে ৩৫টিরও বেশি আসন দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ‘দুর্নীতি এবং অপশাসন’ রুখতে বিজেপিই যে ‘একমাত্র পথ’, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। মমতাকে তোপ দেগে শাহ বলেন, ‘‘মমতাদিদি পারবেন পাকিস্তানকে জব্দ করতে? কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের শান্ত করতে? মোদীজি পারবেন। মোদীজি এই কাজ করে দেখিয়েছেন।”