বর্ধমানের মাটিয়াল ডিভিসি মোড় এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে হয়েছে এই দুর্ঘটনা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘন কুয়াশার জেরে জোড়া দুর্ঘটনা পূর্ব বর্ধমানে। দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বর্ধমানের মাটিয়াল ডিভিসি মোড় এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে হয়েছে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক জনের। আহত হন ক্রেনের চালক-সহ চার জন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দু’টিকে সরানোর সময় আহত হন ক্রেনের চালক। অন্য একটি দুর্ঘটনায় সেতু থেকে খালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মাছ ব্যবসায়ীর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। ফলে দৃশ্যমান্যতা খুব কম ছিল। যার জেরে অনেক গাড়িই জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ধান বোঝাই গাড়িকে ধাক্কা মারে একটি বালি বোঝাই গাড়ি। বালিবোঝাই গাড়িটি কলকাতায় যাচ্ছিল। ওই দুর্ঘটনায় আহত হন দু’জন। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করছিল পুলিশ। সে সময় একটি কলকাতামুখী ডাম্পার আবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলিকে ধাক্কা মারে। ডাম্পারের চালক দু্র্ঘটনাস্থলেই মারা যান। খালাসিকে গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুর্ঘটনার ফলে আহত হন উদ্ধারকারী ক্রেনের চালকও। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছু ক্ষণ যান চলাচল ব্যহত হয় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কলকাতা অভিমুখী লেনে।
অন্য দিকে, দৃশ্যমানতা কম থাকায় সেতু থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মাছ ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম সনৎ বৈরাগ্য। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ওড়গ্রামে। বৃহস্পতিবার ভোরে সনৎ সাইকেলে চেপে মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার সময় সেচ খালের সেতু থেকে নীচে পড়ে যান। স্থানীয়দের দাবি, তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় অন্য একটি গাড়ি। দুর্ঘটনাটি ঘটে ভাতারের শিলাকোট গ্রামের কাছে। তাঁকে উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।