Bihar

সোজা পথে মেলে না, বিহারে চোরাবাজারের মদে বিষক্রিয়ায় ছ’জনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক অনেকে

নীতীশ কুমারের রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু ছাপড়া জেলায় বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হল ছ’জনের। আরও বেশ কয়েক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৫৯
Share:

বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। বিহার পুলিশ সূত্রে খবর, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অনেকে। প্রতীকী চিত্র।

মদ-নিষিদ্ধ নীতীশ কুমারের রাজ্য বিহারে বিষমদ পানে মৃত্যু হল ৬ জনের। আশঙ্কাজনক বেশ কয়েক জন। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারেও বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের ছপরার একটি গ্রামে বিষমদ খেয়ে বাড়িতেই মারা যান ৪ জন ব্যক্তি। এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ছপরা জেলা হাসপাতালে তাঁরও মৃত্যু হয়। বিষমদ খেয়ে অসুস্থের সংখ্যা সম্পূর্ণ জানা যায়নি। তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বেশ কয়েক জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিষমদ পান করে মৃত্যু হওয়া ৬ জনের নাম জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এঁরা হলেন সঞ্জয় সিংহ, কৃপল কুমার, পরেন্দ্র রাম, বীরেন্দ্র রাম, অমিত রঞ্জন এবং গোপাল শাহ। এঁদের মধ্যে অমিত হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর পুলিশ তাঁর দেহ নিজেদের হেফাজতে নেয়। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে বিষমদকেই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। একই অভিযোগ করেছে মৃতদের পরিবারও।

Advertisement

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিহারের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক জনক সিংহ, নীতীশ কুমারের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর দাবি, মৃতদের মধ্যে তিন জন তাঁর গ্রামেরই বাসিন্দা। কী ভাবে মদ-নিষিদ্ধ রাজ্যে এই ঘটনা ঘটে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে বিধায়ক বলেন, ‘‘রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ বিষাক্ত মদ খেয়ে মারা যাচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করছেন না। এর জন্য যারা সরকারের নেতৃত্বে আছেন তাঁদেরই তো দায়ী করা হবে। কারণ, নীতীশই তো বলেছিলেন এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে জয়ের পর মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। গত কয়েক বছরে সেই নিষেধাজ্ঞা আরও জোরালো হয়েছে। মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একাধিক কৌশলগত বদল এনেছে সরকার। তার পরেও এমন ঘটনায় চাপে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement