লালনের দেহ নিয়ে সিবিআই ক্যাম্পের সামনে গেলেন পরিবার। ‘অভিযুক্ত সিবিআই’ আধিকারিকদের গ্রেফতারির দাবি করে রামপুরহাটে সিবিআই অস্থায়ী শিবিরের মধ্য়ে প্রবেশ করতে চান তাঁরা জানান, সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হতে শুরু করে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালনের মৃত্যু হয় সোমবার। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সিবিআইকে দায়ী করেছে পরিবার। সিবিআই একে ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করলেও লালনের স্ত্রী দাবি করেন খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেফতারির দাবি করে দেহ নিতে প্রথমে রাজি হননি তাঁর তিনি। তবে এই মামলাটি সিআইডি নেওয়ার পর বুধবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লালনের দেহ গ্রহণ করে পরিবার। বগটুই গ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত লালনকে। কিন্তু হঠাৎই দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে। এর পরই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
প্রায় আধ ঘণ্টা লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে বিক্ষোভ হয়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। অন্য দিকে, লালনের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দ্রুত শুনানির আবেদন করে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বুধবারই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্য দিকে, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে সিবিআই ক্যাম্পেও বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। দুর্গাপুরে এনআইটি ক্যাম্পাসে সিবিআইয়ের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। সেখানেও লালনের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।