Custodial death in Bogtui Case

লালন-মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, আছে কেষ্টকে গ্রেফতার করা অফিসারের নাম!

সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে বগটুইকাণ্ডের তদন্তের কোনও যোগই নেই। কিন্তু অনুব্রতকে গ্রেফতার করা আধিকারিকের নামও আছে এফআইআরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:১৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। তাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুনের অভিযোগ)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপি-সহ মোট ৭ জনের নামে। আর এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম সুশান্ত ভট্টাচার্য। এই সিবিআই আধিকারিক গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে কাজ করছেন। গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিলেন। সেই সুশান্তের নাম লালনের মৃত্যুর এফআইআরে থাকায় বিস্মিত সিবিআইয়ের অনেক আধিকারিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই আধিকারিক একে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছেন। সুশান্ত ছাড়াও রয়েছে স্বরূপ দের নাম। তিনিও গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার।

Advertisement

পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে সিবিআইয়ের সাত অফিসারের বিরুদ্ধে যে ক’টি ধারায় মামলা হয়েছে, সবই জামিন অযোগ্য ধারা। তাঁদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, হুমকি ইত্যাদির অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। সিবিআই দাবি করে, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। যদিও মৃতের স্ত্রী খুনের অভিযোগ এনেছেন।

Advertisement

লালনের স্ত্রী রেশমা স্বামীর মৃত্যুতে একাধিক অভিযোগ এনেছেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে আছে হুমকি, টাকা চাওয়া, মারধর, বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ। সেখানে বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্তের নামও নিয়েছেন রেশমা। সেখান থেকে পুলিশের এফআইআরে সুশান্ত-সহ আরও কয়েক জন সিবিআই আধিকারিকের নাম আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement