নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে সংসদ ভবনের সামনে তৃণমূল ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদদের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই
এনআরসি বিতর্কে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ প্রসঙ্গের অবতারণা নিয়ে আজ সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কাল এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বলেছিলেন, এর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ নেই। আজ মমতার মতে, বিজেপি সরকারের এই মনোভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মধুর। দেশ ভাগের সময় কেউ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, কেউ পাকিস্তান থেকে। তার মানে এই নয় যে, তাঁরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী।’’
বাংলাদেশের মন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, একাত্তরের চুক্তির ফলে বৈধ ভাবেই ১ কোটি মানুষ ভারতে গিয়েছিলেন। ভারত তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করেছিল। ৪৮ বছর এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এখন যা হচ্ছে তা অসমের বাসিন্দাদের সমস্যা, ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এর সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল নেত্রীও আজ কার্যত একই সুরে সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাংলাদেশের নাম করে সবাইকে হটিয়ে দেওয়া যায় নাকি! বাংলাদেশ কোনও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র নয়। যা করা হচ্ছে তাতে বাংলাদেশের অপমান হচ্ছে!’’ তাঁর মতে এনআরসি নিয়ে যা চলছে, তাতে দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে জটিলতা তৈরি হবে।
আজ অবশ্য মমতাকে অপ্রস্তুত করতে নিজের ব্লগে তেরো বছর আগে লোকসভায় করা তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। ২০০৫ সালের ৪ অগস্ট মমতা লোকসভায় বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আসার বিষয়টি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ভোটার তালিকায় বহু বাংলাদেশির নাম রয়েছে। অরুণের বক্তব্য, ‘২০০৫ সালে বিজেপির শরিক মমতা একটি বিশেষ অবস্থান নিয়েছিলেন। আজ ফেডারেল ফ্রন্টের নেতা হিসেবে উল্টো কথা বলছেন। ভারতের সার্বভৌমত্ব কি এই সব নড়বড়ে মনের মানুষদের হাতে নির্ধারিত হবে?’