ছবি- পিটিআই
ক্রমেই অবনতি হচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতির। ধস ও বন্যায় ভেসে গিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের ৩০ জেলায় অন্তত ৪২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে। গোটা পরিস্থিতি রেখে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সোমবার পর্যন্ত অসমে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে গিয়ে ভেসে গিয়েছেন নগাঁও জেলার এক পুলিশ আধিকারিক। ভয়াবহ বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বরপেটা, বক্সা, গোয়ালপাড়া আর কামরূপে। বরপেটার প্রায় ২১ শতাংশ বন্যাকবলিত। কাছাড় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বরপেটায়। বাজালি, কামরূপ, করিমগঞ্জ, উদলগুড়িতে এক জন করে মৃত্যুর খবর মিলেছে। ডিব্রুগড়ে চার জন নিখোঁজ হয়েছেন। কাছাড়, হোজাই, তমুলপুর, উদলগুড়িতে এক জন করে নিখোঁজ।
ভারী বৃষ্টির কারণে মেঘালয়েও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা কনরাডের সঙ্গেও কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ টুইটারে লেখেন, ‘ভারী বৃষ্টি আর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা কনরাডের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই জরুরি সময় দুই রাজ্যেরই পাশে রয়েছে মোদী সরকার।’ তিনি আরও জানান, শীঘ্রই বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল।