বন্যা হোক, ভূমিকম্প বা যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক, উদ্ধারকাজে সাধারণত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা সেনার পুরুষ সদস্যদেরই পাঠানো হয়। কিন্তু সেই বেড়াজাল ভেঙে এ বার বিপর্যস্ত মানুষের উদ্ধারে দেখা গেল অসমের ‘রাইফেল উওম্যান’দের।
কখনও কোমরসমান জলে, কখনও জল-কাদা ভেঙে, কখনও আবার নৌকা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে। তাঁদের উদ্ধার করা, খাবার-জল পৌঁছে দেওয়ার মতোও কাজ করছেন দিনরাত এক করে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনার সঙ্গে সমান তালে কাঁধ মিলিয়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বন্যাকবলিত অসমের কাছাড় জেলায় এই ভূমিকায় দেখা গেল রাইফেল উওম্যানদের।
এই দলেরই এক সদস্য মান্টি দাস বলেন, “আমার বয়স ২২। ধুবুরির বাসিন্দা। আমি এক জন গর্বিত রাইফেল উওম্যান।” মান্টি জানিয়েছেন কী ভাবে কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে তাঁদের যেতে হয়েছে। বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে তার মোকাবিলা করার –জন্য মানসিক এবং শারীরিক ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “প্রশিক্ষণের সময় প্রতি দিন ২২ কেজি ওজন পিঠে বহন করে ২৫ কিলোমিটার দৌড়তে হত।” কঠিন সেই প্রশিক্ষণই এই দুর্যোগ মোকাবিলার কাজে লাগছে বলে জানিয়েছেন মান্টি।
তাই কখনও কোমরজল ভেঙে, কখনও নৌকা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। সেখানে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করছেন। আবার খাবার-জলও পৌঁছে দিচ্ছেন এই রাইফেল উওম্যানরা।
অসমের বন্যায় ইতিমধ্যেই ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ কোটি মানুষ।