পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন কিম জং উন।
সীমান্তে উড়ে এসেছিল ‘অজানা বস্তু’। আর সেই ‘অজানা বস্তু’ই দেশে কোভিড সংক্রমণের কারণ। এমনই দাবি করলেন উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে সরাসরি আঙুল না তুললেও, কোভিড সংক্রমণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়াই দায়ী ঘুরিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিতে চেয়েছেন কিম।
কিমের দাবি, বছরের পর বছর ধরে সীমান্তের ও পার থেকে বেলুনের মাধ্যমে নানা রকম জিনিস উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত এলাকার মানুষদের পাঠায় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আর তা থেকেই দেশে কোভিড ছড়িয়েছে।
তাই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেলুনে ভেসে আসা কোনও বস্তু তাঁরা যেন স্পর্শ না করেন। শুধু তাই-ই নয়, এ রকম সন্দেহজনক কোনও বস্তু দেখলেই বাসিন্দারা যেন প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। যাতে কোভিড নিয়ন্ত্রণে জন্য গঠিত দল সেই ‘অজানা বস্তু’কে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্র কেসিএনএ-তে দাবি করা হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় এ রকম ‘অজানা বস্তু’র সংস্পর্শে এসেছিলেন দুই ব্যক্তি। তার পরই তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হন।
কোভিড সংক্রমণের জন্য ঘুরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করা হলেও, তারা পাল্টা দাবি করেছে, কিমের দেশের অতিমারির জন্য দক্ষিণ কোরিয়া কোনও ভাবেই দায়ী নয়। গত এপ্রিলে অতিমারি সংক্রণের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৭ লক্ষ মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে তাঁরা সকলেই কোভিডে আক্রান্ত।