অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুজরাত থেকে জিগ্নেশকে গ্রেফতার করার ঘটনা প্রমাণ করল মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার অধীনে অসম পুলিশ কত সক্রিয়।
জিগ্নেশ মেবাণী।
গুজরাতের দলিত নেতা তথা বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণীকে ১ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল অসমের কোকরাঝাড়ের আদালত। শীর্ষ ও উচ্চ আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে আজ জিগ্নেশের কৌঁসুলি আদালতে জানান, যে মামলায় তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাতে এত দিন তাঁর হেফাজতে থাকারই কথা নয়। আদালত এ দিন জিগ্নেশের জামিন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। আগামিকাল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিচারক।
জিগ্নেশ নাথুরাম গডসে, গুজরাতে হওয়া সংঘর্ষ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে টুইট করেছিলেন। সেই টুইটের বিরুদ্ধে বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদের সদস্য অরূপ কুমার দে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে জিগ্নেশকে ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে গুজরাতে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। এই অভিযোগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিন রাজ্যের বিধায়ককে গ্রেফতার করে আনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা।
আজ সন্ধ্যায় জিগ্নেশকে কোকরাঝাড় জেলা দায়রা আদালতে তোলা হয়। তাঁর সমর্থনে সকালেই কোকরাঝাড়ে হাজির হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা। কিন্তু তাঁকে জিগ্নেশের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তার প্রতিবাদে ও জিগ্নেশের মুক্তির দাবিতে বরার নেতৃত্বে কংগ্রেস আজ মৌন মিছিল করে।
অরূপ অবশ্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লেখা যে কোনও নেতিবাচক পোস্ট বিজেপি কর্মীদের আহত করে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কিছু পোস্ট করার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকা উচিত। তাঁর কথায়, আমি অনেক দিন ধরেই জিগ্নেশের টুইট অনুসরণ করছি। তিনি সব সময় মোদীজিকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। আমরা মোদীজির মতো প্রধানমন্ত্রী পেয়ে ধন্য। গুজরাতে সংঘর্ষের জন্য মোদী দায়ী নন। মোদীজি যে গডসের উপাসক- তার প্রমাণ কোথায় পেলেন জিগ্নেশ?”
জিগ্নেশের গ্রেফতারি নিয়ে হওয়া প্রতিবাদ উড়িয়ে অরূপের বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আনলে বিজেপি কর্মীরা সহ্য করব না। পুলিশে অভিযোগ করে সব জননেতাদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। জিগ্নেশ একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে শান্তির বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানাতেই পারেন। কিন্তু সংঘর্ষের জন্য তাঁকে দায়ী করতে পারেন না।”
অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুজরাত থেকে জিগ্নেশকে গ্রেফতার করার ঘটনা প্রমাণ করল মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার অধীনে অসম পুলিশ কত সক্রিয়।