রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ছবি: পিটিআই।
উৎসবের মরসুমে কিছু রুটে টিকিটের চাহিদা প্রায় আকাশ-ছোঁয়া হয়ে যায়। এমন কিছু রুটে তুলনায় বেশি ভাড়ায় যাত্রীদের নিশ্চিত আসন প্রাপ্তির সুযোগ করে দিতে ‘সুবিধা’ ট্রেন চালু করেছিল রেল। দেখা গিয়েছে, জয়পুর-বেঙ্গালুরু এবং মুম্বই-পটনা রুটে ওই ভাড়া মূল ভাড়ার তিন গুণ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ওই পথে কম ভাড়ার উড়ানের টিকিটের চেয়েও মহার্ঘ হয়ে উঠেছে ট্রেনের টিকিট। এ নিয়ে রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রেল দফতরকে।
তড়িঘড়ি সারা দেশের বিভিন্ন জ়োনে ওই ট্রেন সফরের তথ্য দিয়ে রেলের পক্ষ থেকে বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলেও সরকার বিরোধী চাপান-উতোর থামেনি। বিতর্কের মধ্যেই সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই ওই ভাড়া পুনর্বিন্যাসের সুপারিশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটি গড়ার ভাবনা রেলের মাথায় নেই।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় ডিএমকে-র সাংসদ পি উইলসনের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী ওই তথ্য জানিয়েছেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে রেলমন্ত্রীর দাবি, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে যাত্রী ভাড়া খাতে রেল ৫৯ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। যা যাত্রীপিছু টিকিটের দামের ৫৩ শতাংশ বলেও দাবি করেন রেলমন্ত্রী। অতিমারি পর্বের আগের বছরের ওই তথ্য দিয়ে আপাতত ভাড়া পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত বিষয়টি সরকারি বিবেচনায় না থাকার কথাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ফলে, কিছু বিশেষ রুটে অতিরিক্ত চাহিদার সময়ে যাত্রীদের যে টিকিটের জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সারা দেশেই শীতের মরসুমে টিকিটের চাহিদা আছে, এমন একাধিক রুটে বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। ওই সব ট্রেনের মধ্যে সুবিধা শ্রেণির ট্রেনও রয়েছে। উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের টিকিটের অস্বাভাবিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি ওই বিশেষ শ্রেণির ট্রেন চালাচ্ছে পূর্ব রেলও। তার ভাড়া এখনও আকাশ-ছোঁয়া না হলেও নিয়মিত ট্রেনের চেয়ে যাত্রীদের কিছুটা বেশি টাকা দিতে হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর।