—প্রতীকী চিত্র।
ভুয়ো খবর এবং তথ্যের ফাঁদই ভারতীয় ভোটারদের বড় চিন্তা। লোকসভা ভোটের আবহে একটি সমীক্ষায় এই আশঙ্কার কথা জানাল ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। ভুয়ো তথ্যের এই রমরমার ফলে নির্বাচন ছাড়াও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিভাজন, বিদ্বেষের আবহ আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে
ওই সমীক্ষায়।
‘গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক ওই সমীক্ষায় বিশ্ব জুড়ে নানা ঝুঁকির কথা তুলে ধরা হয়েছে। সে প্রসঙ্গেই আগামী দু’বছরে বিশ্বের যে সব দেশে নির্বাচন রয়েছে, সেই সব দেশের নাগরিকেরা কী ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন, সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ওই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান, ব্রিটেন এবং আমেরিকাও।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী দু’বছরে ওই সব দেশের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁদের প্রভাবিত করতে যে ভাবে নির্বিচারে ভুয়ো তথ্যের ব্যবহার, মিথ্যে খবর ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে, তা নির্বাচিত সরকারের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তার জেরে প্রতিবাদ, অশান্তি, বিদ্বেষজাত অপরাধ এমনকি, সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ
করা হয়েছে।
ভারতে ভোটের আগে ভুয়ো খবরের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগেও তেমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছিল। ক’মাস আগেই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিয়ো তৈরির ঘটনা সামনে আসায় বিতর্ক বাধে। লোকসভা ভোটের আগেও ফের তা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, সত্যি খবরের বদলে মিথ্যে তথ্যের রমরমা যত বাড়বে, তথ্যের উপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণও সেই সঙ্গে বাড়তে পারে। সরকারের তরফে নিজের পছন্দের বয়ানকে প্রচার করা, সরকারের তরফে কোনটা ‘সত্যি’ তা ঠিক করে দেওয়ার প্রবণতাও একই সঙ্গে বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।