ফাইল চিত্র।
পাঁচ রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন কেন্দ্রীয় যোজনার শিলান্যাস এবং উদ্বোধনে গিয়ে কংগ্রেস জমানাকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করছেন। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, বেশ কয়েক বছর ধরেই মোদী এবং তাঁর দল ও মন্ত্রীরা বোঝাতে সক্রিয় যে, দেশের সমস্ত উন্নয়ন শুরু হয়েছে ২০১৪ সালের পরে। অর্থাৎ মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পরে। শুক্রবার সোমনাথ মন্দিরের সন্নিকটে সরকারি সার্কিট হাউসের ভিডিয়ো উদ্বোধন করতে গিয়েও একই ভাবে মোদী তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের দিকে। তাঁর দাবি, আগে নতুন পরিকাঠামো তৈরি হত ‘শুধু মাত্র দিল্লির কিছু পরিবারের’ জন্য। কিন্তু তার সরকারই এই ‘সঙ্কীর্ণ চিন্তাভাবনা থেকে দেশকে মুক্ত’ করেছে। জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে, এমন সব এলাকা চিহ্নিত করে ভবন তৈরি করেছে তাঁর সরকার।
প্রধানমন্ত্রী সোমনাথ মন্দিরের ট্রাস্টের চেয়ারম্যানও বটে। শুক্রবার সার্কিট হাউস উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “পূর্বসূরিরা আমাদের জন্য অনেক কিছুই রেখে গিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সমৃদ্ধ ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে সরব হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের দ্বিধা ছিল।” মোদীর কথায়, “স্বাধীনতার পরে যা কিছু নতুন নির্মাণ হত, তা কেবল মাত্র দিল্লির কতিপয় পরিবারের জন্যই করা হত। আমরা দেশকে এই সঙ্কীর্ণ চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত করেছি। নতুন জাতীয় সৌধ মিনার তৈরি করছি।’’
এর আগেও গত কয়েক মাসে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে বারবার প্রধানমন্ত্রীকে যেতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য। প্রত্যেক বারই তাঁর বক্তৃতায় মোদী মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি সরকার আসার আগে দুর্নীতি এবং গয়ংগচ্ছ মনোভাবের কারণে সরকার প্রদত্ত ন্যায্য কোনও সুবিধাই মানুষের দ্বারপ্রান্তে আসত না। উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে এসপি সরকারকেও দূষে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রে যখন তাঁর সরকার, তখনও তিনি চাইলে উত্তরপ্রদেশের জন্য কিছু করতে পারেননি। ২০১৭ সালের পরে সেখানে বিজেপি এলে রাজ্যের সমস্ত বিকাশের কাজ শুরু হয়েছে।
গুজরাটের ক্ষেত্রে অবশ্য নতুন করে ‘ডবল ইঞ্জিনের’ বিষয়টি বলার কিছু নেই মোদীর। কিন্তু সোমনাথ মন্দিরের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিনি আসলে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে অন্য ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে নিশানা করতে চেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। সেই সঙ্গে হিন্দুত্বের আবেগও উস্কে দিতে চেয়েছেন। মোদীর কথায়, “ধর্মীয় ঐতিহ্যপূর্ণ এলাকার উন্নয়ন করলে সেখানে পর্যটনও চাঙ্গা হয়।”